রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে ইউক্রেনে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী জার্মান গালুশচেঙ্কো জানিয়েছেন, হামলার কারণে জাতীয় পাওয়ার গ্রিড পরিচালনাকারী সংস্থা জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ওডেসা, ক্রোপিভনিজকি, খারকিভ, রিভনে এবং লুটস্ক শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিত্সকো টেলিগ্রামে জানান, রাজধানীতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে এবং নাগরিকদের আশ্রয়ে থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে।  

সুমি অঞ্চলের শোস্তকা এলাকায় অবকাঠামোতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সামরিক প্রশাসন। খারকিভ অঞ্চলে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেগ সিনেগুবভ।  

উকরেনেরগো জানিয়েছে, কিয়েভ, ওডেসা, দনিপ্রো এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকায় তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। লভিভ এলাকায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। রিভনে অঞ্চলে ২ লাখ ৮০ হাজার এবং ভলিন অঞ্চলে ২ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন।  

জ্বালানিমন্ত্রী গালুশচেঙ্কো জানিয়েছেন, এটি চলতি বছরে রাশিয়ার একাদশ বড় ধরনের হামলা। বিদ্যুৎ পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে, তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।  

জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রোজমেরি ডিকারলো সতর্ক করেছেন, এই শীতকাল ইউক্রেনের জন্য যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সবচেয়ে কঠিন হতে পারে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পূর্ণমাত্রার আক্রমণ শুরুর পর থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে আসছে, যার ফলে দেশটি বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লোডশেডিংয়ের মুখোমুখি হচ্ছে।  

সূত্র : আল জাজিরা