ফিরোজা বেগমের দশম মৃত্যুবার্ষিকী: শ্রদ্ধা আর নীরব স্মরণ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম

বরেণ্য নজরুলগীতি শিল্পী ফিরোজা বেগম। ছবি: সংগৃহীত
আজ ৯ সেপ্টেম্বর, বরেণ্য নজরুলগীতি শিল্পী ফিরোজা বেগমের দশম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৪ সালের এই দিনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নজরুল সংগীতে অবদানের জন্য ভারতীয় উপমহাদেশজুড়ে তিনি আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
তার স্মরণে কোনো রাষ্ট্রীয় আয়োজন না থাকলেও পারিবারিকভাবে দিনটি নীরবে পালন করা হয়। ফিরোজা বেগমের পুত্র এবং বাংলাদেশ মিউজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বাবমা) সভাপতি হামিন আহমেদ বলেন, প্রতিবছরই মায়ের জন্ম ও মৃত্যুর দিনটি পারিবারিকভাবে স্মরণ করা হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে না হলেও, আমাদের উচিত এই গুণী মানুষদের যথাযথ সম্মান দেয়া। সবার কাছে আমার মায়ের জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি।
ফিরোজা বেগমের সংগীত জীবন শুরু হয়েছিল শৈশবে। ১৯৩০ সালের ২৮ জুলাই ফরিদপুরে জন্ম নেয়া ফিরোজা বেগমের সংগীতের প্রতি ভালোবাসা খুব অল্প বয়স থেকেই। মাত্র ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গান গেয়ে সংগীত ভুবনে তার যাত্রা শুরু হয়। ১৯৪২ সালে গ্রামোফোন কোম্পানি এইচএমভি থেকে তার প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়।
মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সান্নিধ্যে আসেন এবং তার কাছ থেকে সংগীতে তালিম নেন। ১৯৪৯ সালে নজরুলের গানের প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয় ফিরোজা বেগমের কণ্ঠে। সেই রেকর্ডে ছিল দুটি অমর গান, ‘দূরদ্বীপবাসিনী’ ও ‘মোমের পুতুল’।
ফিরোজা বেগম নজরুলগীতি ছাড়াও আধুনিক গান, গজল, কাওয়ালি, ভজন, হামদ, নাতসহ বিভিন্ন ধরনের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তিনি কলকাতায় বসবাস শুরু করেন ১৯৫৪ সালে এবং ১৯৫৫ সালে বিখ্যাত সুরকার, গায়ক ও গীতিকার কমল দাশগুপ্তের সঙ্গে তার বিবাহ হয়।
জীবদ্দশায় ফিরোজা বেগমের ১২টি এলপি, ৪ টি ইপি, ৬ টি সিডি এবং ২০টিরও বেশি অডিও ক্যাসেট প্রকাশিত হয়েছে। শিল্পীজীবনে তিনি পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা।
আরো পড়ুন: লাইফ সাপোর্টে চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার
শিল্পের জগতে ফিরোজা বেগম আজও অমর হয়ে আছেন তার অবিস্মরণীয় কীর্তির মাধ্যমে। তার স্মৃতি আমাদের মনে চিরকাল বেঁচে থাকবে।