সোহমের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রেস্তোরাঁ -মালিক!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৪, ০৬:২০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
নিউ টাউনের রেস্তোরাঁর মালিককে মারধরের ঘটনায় এবার আদালতে পৌঁছল। অভিনেতা তথা চণ্ডীপুরের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ওই রেস্তোরাঁর মালিক আনিসুল আলম।
রেস্তোরাঁ মালিকের অভিযোগ, সোহমের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না পুলিশ। তাই ঘটনার চার দিন পর ওই রেস্তোরাঁর মালিক হাইকোর্টে মামলা করেন। আনিসুলের আইনজীবীর দাবি, তার মক্কেল এবং পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন সোহম। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। আগামী শুক্রবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউ টাউনের এক রেস্তোরাঁর একটি ফ্লোরে শুটিং করছিলেন সোহম। সেই সময়ই রেস্তোরাঁর সামনে শুটিং ইউনিটের গাড়ি রাখা নিয়ে সোহমের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ঝমেলা বাধে ওই রেস্তোরাঁর মালিক আনিসুলের। তার অভিযোগ, একটি পার্কিং খালি করতে বললে সোহমের নিরাপত্তারক্ষীরা তার উপর চড়াও হন। আরও অভিযোগ, এর পর সোহমও তাকে মারধর করেন। তাকে ঘুষি মারা হয়। এমনকি, সোহম তাকে সজোরে লাথি মারেন বলেও অভিযোগ করেছেন আনিসুল।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। আনিসুলের দাবি, তিনি পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন। মারধরের ভিডিয়ো সিসি ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে।
আরো পড়ুন: শাড়িতে লাস্যময়ী পরীমণি
শনিবার দুপুরে ক্ষমা চেয়ে সোহম বলেন, আগে আমার ও আমার প্রযোজনা সংস্থার কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল। অকথ্য গালিগালাজ করা হয়, কুকথা বলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও। সেই সময়ে মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এমন কাজ করা উচিত হয়নি। আমার ভুল হয়েছে।
তবে তিনি এ-ও অভিযোগ করেন, যে ফুটেজ প্রকাশ্যে এনেছেন ওই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ, তাতে শুধু তার মারমুখী চেহারাটাই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আসল ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে আধ ঘণ্টা বা ৪৫ মিনিট আগে। বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর তরফে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, ওই সন্ধ্যায় তারা শুটিং করতে যাওয়ার সময় থেকেই কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। পরে রেস্তোরাঁর মালিক অভদ্র ব্যবহার শুরু করেন। তার এবং তার দেহরক্ষীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। এমনকি, দেহরক্ষীর গায়ে হাতও তোলা হয়। সেই সব ঘটনার ফুটেজ প্রকাশ্যে আসছে না। গোটা হার্ড ডিস্কটা নিয়েই চলে গিয়েছেন ওই রেস্তোরাঁর মালিক। সেটা খুঁজে বার করা দরকার।