বুরাক ঔজচিভিত কি সত্যি ঢাকায় আসছেন?

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম

বুরাক ঔজচিভিত। ছবি: সংগৃহীত
শীর্ষস্থানীয় কনজিউমার ডিউরেবলস কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড তাদের রূপান্তর যাত্রায় ব্র্যান্ডের মুখপাত্র হিসেবে তুর্কির সুপারস্টার অভিনেতা বুরাক ঔজচিভিতের বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বুরাক ঔজচিভিত তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নতুন একটি ভিডিও পোস্ট করে আবারো আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
এ ভিডিও বার্তায় বুরাক ঔজচিভিত তার সাথে সাক্ষাত করার জন্য একজন বিজয়ী (উরাধুরা ফ্রাইডে ক্যাম্পেইনে) পেয়ে গেছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে বাংলা ও ইংরেজি ভাষার মিশ্রণে শুভেচ্ছা বার্তায় আরো বলেন, ‘সালাম বাংলাদেশ, কেমন আছেন আপনারা? খুব শিগগির আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে।’ ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে বাংলাদেশি ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।
একটি স্বয়ংক্রিয় নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে 'বুরাক স্পেশাল সিঙ্গার উরাধুরা ফ্রাইডে'-এর ভাগ্যবান বিজয়ী হয়েছেন ঢাকার শান্তিনগরের মিসেস নাদিয়া আফসানা। সিঙ্গার বাংলাদেশ তার ভক্ত এবং গ্রাহকদের জন্য প্রিয় অভিনেতার সাথে দেখা ও শুভেচ্ছা জানানোর আরো বড় সুযোগ দিচ্ছে। ১৯ থেকে ২৬ মের মধ্যে দেশব্যাপী যেকোনো সিঙ্গার বেকো স্টোর এবং singer.com থেকে ভোক্তারা যেকোনো পণ্য কিনে ভাগ্যবান বিজয়ী হিসেবে বুরাক ঔজচিভিতের সাথে দেখা করার সুযোগ পাবেন। বুরাক ঔজচিভিত সিঙ্গার বাংলাদেশের সাথে তার সমঝোতার অংশ হিসেবে একাধিক কার্যক্রমে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফর করবেন।
সিঙ্গার বাংলাদেশ, আর্চিলিকের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, যা তুরস্কের কোচ গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি, একটি ধারাবাহিক রূপান্তর শুরু করেছে। নতুন কনসেপ্ট স্টোর, নতুন কর্পোরেট অফিস এবং ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট এই রূপান্তর প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিঙ্গার বাংলাদেশের লক্ষ্য কোস গ্রুপ এবং আর্চিলিকের বৈশ্বিক দক্ষতা এবং মান বাংলাদেশে নিয়ে আসা এবং ভোক্তাদের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করা, যা সিঙ্গার বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
দেশব্যাপী সিঙ্গার-বেকো মিলিয়ে ৪৬৩টি স্টোরের সমন্বয়ে সিঙ্গার বাংলাদেশের রয়েছে সবচেয়ে বিস্তৃত রিটেইল নেটওয়ার্ক। বিশ্বমানের গ্রাহকসেবা নিশ্চিতে রূপান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সকল রিটেইল স্টোরকে ক্রমান্বয়ে সিঙ্গার-বেকো আউটলেটে পরিণত করা হবে।
উল্লেখ্য, সিঙ্গার বাংলাদেশের টেকসই পণ্যের বৃহত্তম খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম। সারা দেশে ৪৬৩টি রিটেইল স্টোর এবং ১০০০টিরও বেশি ডিলার শপসহ সিঙ্গার ১৯০৫ সালে এই অঞ্চলে কাজ শুরু করে। সিঙ্গার, বেকো এবং মাল্টি-ব্র্যান্ডের অধীনে সিঙ্গার সকল শ্রেণীর গৃহস্থালি ভোক্তা টেকসই পণ্য বিক্রি করে। সিঙ্গার বাংলাদেশ আর্চিলিকের ৫৭ শতাংশ মালিকানাধীন এবং কোম্পানির বাকি শেয়ার ডিএসই এবং সিএসইতে লেনদেন করা হয়।

সারা বিশ্বে ৫৫ হাজার কর্মী নিয়ে আর্চেলিক পরিচালিত হয়। বিশ্বব্যাপী ৫৭টি দেশে আর্চেলিকের সহায়ক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে এবং ১৩টি দেশে ৪৫টি উৎপাদনপ্ল্যান্ট রয়েছে। আর্চিলিকের ২২টি ব্র্যান্ডের মালিকানা বা লাইসেন্স রয়েছে।
আর্চেলিক বাজারের তার অংশীদারিত্বের উপর ভিত্তি করে ইউরোপের বৃহত্তম হোয়াইট গুডস কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে এবং ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির টার্নওভার ছিল প্রায় ৮ বিলিয়ন ইউরো। বিশ্ব জুড়ে আর্চিলিকের ৩১টি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলডমেন্ট এবং ডিজাইন সেন্টার ও অফিসে রয়েছে ২৩০০ এর বেশি গবেষক। এখন পর্যন্ত তাদের রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক নিবন্ধিত পেটেন্ট আবেদন।