‘ওদেরকে সাইজ করতে আমার একটু সময় লাগবে’

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম

মাহিয়া মাহি
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে গোদাগাড়ী উপজেলার রিসিকুল ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণাকালে তিনি বলেন, আমি এমপি হলে ভাতা কার্ড নিতে টাকা লাগবে না। যদি মেম্বার, চেয়ারম্যানরা বলে ভাতা কার্ড পেতে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা লাগবে। আমাকে খালি ফোন দেবেন। আমি নিজে এসে কার্ড দেব। কারণ এই অন্যায় তো অনেক আগে থেকে চলে আসছে। এদেরকে সাইজ করতে আমার একটু সময় লাগবে। কারণ এরা অনেক পটু।
মাটির রাস্তায় গ্রামবাসীর চলাচলে দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে মাহিয়া মাহি বলেন, সরকারিভাবে রাস্তা করা অনেক খরচ, সম্ভব হচ্ছে না- এই রকম যদি বিষয় থাকতো, তাহলে জমিদার সাহেবের (সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী) তো অনেক টাকা। উনি চাইলে নিজেও করে দিতে পারেন। আর যায় হোক কয়েকটা ইট বিছিয়ে দিতে পারতেন। সেটাও তিনি দেন নাই। ১৫ বছরেও কি রাস্তা করা সম্ভব হয়নি। রাস্তার জন্য কত কোটি কোটি টাকা আসে। কিন্তু রাস্তা করে দেন না। কীভাবে করে দেবেন উনি তো জমিদার। জমিদার সাহেব রাজশাহীতে বসে থাকেন। উনি এগুলো দেখেন না।
মাহিয়া মাহি আরো বলেন, এখানে বয়স্ক, মা-বাবা, প্রতিবন্ধীরা আছেন। তারা কি সবাই ভাতা কার্ড পেয়েছেন, এই ভাতা কার্ড কি ফ্রি পেয়েছেন। টাকা দিয়ে ভাতা কার্ড নেয়। ভাতা কার্ড দেয় তো সরকার। টাকা নেয়ার এরা কারা। এই যে ৭ হাজার, ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে কার্ড দেয়, এদের এতো বড় সাহস কোথা থেকে আসে। এগুলো বন্ধ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী-১ আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো. আখতারুজ্জামান। তিনি সরে গিয়ে কাঁচি প্রতীকের গোলাম রাব্বানীকে সমর্থন দিয়েছেন। আসনটিতে মাহিয়া মাহি ছাড়াও টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।