শেষ হলো “দোতারা” টেলিছবির শুটিং

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ০১:২০ পিএম
সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। ভাটির হাওড়ে একসময় সন্ধ্যা নামে। তারপর রাত যত গভীর হয় বৃষ্টির বেগ ততো বাড়তে থাকে। হাওড়ের শান্ত পানি অশান্ত হয়ে ওঠে। জইনুদ্দিনের বাড়িটা কুতুবপুর গ্রামের শেষ প্রান্তে। তারপরেই বিশাল হাওড়। বাউল শীতাব আলীর একমাত্র কন্যা ময়মুনা জইনুদ্দিনের বিবাহিতা স্ত্রী। সেই সূত্রে বাড়িটার মালিক এখন সে। শশুরের ভিটায় থাকলেও জইনুদ্দিন নিজেকে কখনো ঘর জামাই হিসেবে বিবেচনা করেনা। জইনুদ্দিন শুয়ে আছে বিছানায়। তার চোখে ঘুম নেই। বৃষ্টি-বাদলার দিনে হাওড়ের উথাল পাতাল ঢেউ আর বাতাস যখন সহস্র নাগের মত ফুসে ওঠে, তখন জইনুদ্দিন আর ঘুমাতে পারেনা। মাটির বেড়ায় ঝুলে থাকা তার সাধের দোতারাটা হাতে নিয়ে পা টিপে টিপে ঘর থেকে বের হয়ে দাওয়ায় এসে দাঁড়ায় জইনুদ্দিন। দোতারাটা গলায় ঝুলিয়ে নেয় জইনুদ্দিন। তারপর দাওয়ায় রাখা একটি পিড়িতে বসে দুতারায় পরম মমতায় হাত বুলাতে থাকে সে। জইনুদ্দিন দোতারার সংগে বিড়বিড় করে কথা বলতে থাকে, “দোতারারে, ও দোতারা তুই কি আমার দুখ বুঝস? তোর জন্যই তো সংসারে কলঙ্কী সাজলাম, মা ছাড়লাম, ভাই-বান্ধব ছাড়লাম”......
ভাটি বাংলার এমনই এক চমৎকার গল্প নিয়ে নতুন বছরের শুরুতে আসছে আলোচিত টেলিছবি ‘দোতারা’। হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গের বিভিন্ন হাওর এলাকা ও মনোরম লোকশনে শেষ হলো ছবিটির দৃশ্য ধারণ এর কাজ।
আর বাংলা মিডিয়া পরিবেশিত গীতিকার আব্দুল মুকিত প্রযোজিত ও সাংবাদিক সৈয়দ রাশিদুল হক রুজেন পরিচালিত মোস্তাক আহমেদ এর কাহিনী অবলম্বেনে এর চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন পার্থ সারথী দাস। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন সৈয়দ রুজেন, ইর্শা খন্দকার, ফোরকান মজুমদার, অধ্যাপিকা জলি পাল, আশিক, সুলতান, শাহানা, বাবুল আহমেদ, রুবেল, গোপাল সুত্রধর, সিমি, এসএম সুরুজ আলী, নয়না, তানসেন, কামলী, নির্ঝর প্রমুখ। সহকারী প্রযোজক সৈয়দ অলিউর রহমান খোকন, চিত্রগ্রহনে রিয়াজুল ইসলাম মুক্তি, রূপসজ্জায় ছিলেন শিপলু রাহাত। যে কোনো একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হবে এই টেলিছবিটি।