জহির রায়হানের জীবনটাই যেন একটা সিনেমা!

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৬ পিএম


সিনেমার পিছনে ছুটতে ছুটতে জীবনটাই যেন একটা সিনেমা হয়ে গেছে।বলছি এ কালের জহির রায়হানের কথা।
যিনি একটি সিনেমা নির্মাণের জন্য দীর্ঘ ১১ বছর পথ হেঁটেছেন। অবশেষে এ বছর জাতীয় চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারী অনুদান পেয়েছেন।
কিন্তু তাঁর জীবন সংগ্রামের গল্প যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়েছে। ভাবা যায়, একটা সিনেমার পিছনে ১১ বছর যাবত সাধনা করে গেছেন। এই দীর্ঘ আশা-নিরাশার পথ পাড়ি দিয়ে যেদিন তিনি অনুদান প্রাপ্তির সুখবরটা পেলেন, তারপর দুদিন পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন।
জরুরিভিত্তিতে ভর্তি করা হলেন হাসপাতালে। প্রয়োজন দেখা দিলো জটিল একটা সার্জারির। সার্জারি শেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে দুই মাস পার করতে হলো কাটা ছেড়ার সেই ক্ষত স্থানের পরিচর্যায়।প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা নিজের শরীরকে সময় দিয়েছেন।
একদিকে অসুস্থতা, একদিকে সিনেমার স্বপ্ন। সবকিছু মিলিয়ে প্রতিটি দিন যেন তাঁর কাছে একটি বছরের সমান। এই অসুস্থ শরীর নিয়ে প্রতিদিন রান্না করেছেন, নিজের ড্রেসিং নিজেই করেছেন। প্রত্যেহিক জীবনের সাথে তিনি একাকী লড়াই করে গেছেন। গত সপ্তাহে এই ক্লান্তিহীন যুদ্ধ শেষে তিনি যখন প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।
সিনেমার কাজে নামার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন, ঠিক তখনই আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। হসপিটালে ভর্তি হবার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানালেন- আবারও তাকে সার্জারিতে যেতে হবে এবং আবারও দুই মাসের বিশ্রামে থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে একান্ত সাক্ষাতে নির্মাতা জহির রায়হান বলেন- জীবনের কিছু নিয়ম আছে, জীবন কখনো আপনার চাওয়া পাওয়ার মতো হবে না। তাই বাঁচতে হলে আপনাকে জীবনের নিয়মের সঙ্গে লড়াই করেই বাঁচতে হবে। সরকারি অনুদানের সিনেমা নয় মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করতে হয়। আমার এই অসুস্থতা আমাকে অনেকটা পিছিয়ে দিলেও আমার আত্নবিশ্বাস এবং মনোবলে একবিন্দুও চিড় ধরবে না।
আলোর ফেরিওয়ালা খ্যাত, একুশে পদক প্রাপ্ত সাদা মনের মানুষ পলান সরকারের জীবনের ছায়া অবলম্বনে জহির রায়হান নির্মাণ করবেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ’আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। কিন্তু সেই সিনেমা নির্মাণ করতে গিয়ে তাঁর জীবনটাই যেন একটা সিনেমাতে পরিণত হয়েছে।