সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ০৯:৪৯ এএম

ছবি : সংগৃহীত
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২১ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর নতুনবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন তারা।
অবরোধস্থলে শিক্ষার্থীদের প্ল্যাকার্ড ও স্লোগানে ফুটে উঠেছে তাদের ক্ষোভ। "হয় বহিষ্কার বাদ যাবে, না হয় আমার লাশ যাবে", "প্রত্যাহার বহিষ্কার, তারপর হবে সংস্কার", "পা চাটলে পুরস্কার, না চাটলে বহিষ্কার", "অথরিটি স্বৈরাচার, এবার তোরা গদি ছাড়" প্রভৃতি স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শিক্ষার্থীরা নতুনবাজার-গুলশান-বনশ্রী সংযোগ সড়কে অবস্থান নিলে ওই এলাকায় যান চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ভাটারা থানার ওসি মো. রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা অবৈধ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাড্ডাগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়লেও বিপরীত দিকে যান চলাচল সীমিতভাবে চালু রয়েছে।
গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল ইউআইইউ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। পরদিন, ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তীতে ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস চালু হলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী তা প্রত্যাখ্যান করে সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও দমনমূলক আচরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ তাদের ১৩ দফা যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করছে। বরং আন্দোলনকারীদের বহিষ্কার ও তদন্তের ভয় দেখানো হচ্ছে। এমনকি, ট্রাস্টি বোর্ড ২৬ মের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করলে টিউশন ফির সম্পূর্ণ ফেরতের প্রস্তাব দিলেও, একইসঙ্গে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুমকি দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে এবং ট্রাস্টি বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা চাই না কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হোক। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে চলছি।