কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরানো জাবি শিক্ষককে শোকজ

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৪, ১০:১৬ পিএম

শামীমা সুলতানা
বিভাগের সভাপতির নিজ কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সরিয়ে ফেলার ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা সুলতানার কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ চেয়ে লিখিত বক্তব্য জানতে চেয়েছে সিন্ডিকেট।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) আবু হাসান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'বাংলা বিভাগের সভাপতির কক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে ফেলার ঘটনা আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে দেখেছি। তার প্রেক্ষিতে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে উক্ত ঘটনার বিষয়ে অধ্যাপক শামীমা সুলতানার লিখিত বক্তব্য জানতে চেয়েছে সিন্ডিকেট।'
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা সুলতানা কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থীদের হত্যা, হামলা, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে নিজ কার্যালয় থেকে তার ছবি সরিয়ে ফেলেন।
আজকে সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক শামীমা সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেন, আমি এটার উত্তর দিবো। তবে এখানে আমার কিছু প্রশ্ন আছে। যারা সিন্ডিকেটে বসেছে, সবাই এখানে বৈধ কিনা। যেহেতু একজন শিক্ষকের ব্যাপার, সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধি ছিলেন কিনা। সিন্ডিকেটে যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা সবাই ২০০২ সালের প্রজ্ঞাপন মেনেছে কিনা। সিন্ডিকেট সদস্যরা নিজ বিভাগে এটা নিশ্চিত করেছে কিনা।
তিনি আরো বলেন, আমি ল'ইয়ারের সঙ্গে কথা বলবো। আমি এটা কতটুকু মেনে নিবো বা মেনে নেয়ার প্রক্রিয়াটা কি হবে। আমি আমার জায়গায় স্বচ্ছ; আমার বক্তব্যে অটল থাকবো যার হাতে আমার সন্তানের রক্ত, তার ছবি আমি লাগাবো না। এখানে যখন সিন্ডিকেট বসেছে তখনও আমার সন্তানের রক্ত ঝরেছে। সরকারের পেটুয়া বাহিনী আমার সন্তানদের রক্তাক্ত করছে৷
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীদের কার্যালয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস ও সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি টাঙানোর নির্দেশ দেয়া হয়।