মেয়ের রেজাল্টে মিষ্টি বিতরণের পরিবর্তে বুকে রক্তের বন্যা বইছে'

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১১:২০ পিএম

অবন্তিকার মায়ের আহাজারি। ছবি : সংগৃহীত
এলএলবি অনার্সের ফলাফলে জিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে ৩.৭৩ পেয়েছেন সম্প্রতি আত্মহত্যা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। ওই ব্যাচের ফলাফলে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। মেয়ের এই ফলাফলের খুশিতে মিষ্টি বিতরণের পরিবর্তে বুকে রক্তের বন্যা বইছে বলে জানিয়েছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম।
রবিবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এলএলবি প্রোগ্রামের অষ্টম সেমিস্টারের এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফলের পর অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে ভোরের কাগজ থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়।
এসময় তাহমিনা শবনম বলেন, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। তিনি তার নৈতিক দায়িত্ব নাকি পালন করেছেন। এটা আসলে তিনি কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়েছেন। কারণ আমার মেয়েকে বিভাগের যেসকল ১০-১২ টা ছেলে মেয়ে উত্যক্ত করতো, আর আমি বিচারের জন্য যেতাম, সেদিন কোথায় ছিল তাদের নৈতিকতা। আমার মেয়ের বিচার এখনো পেলাম না।
ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দেয়ার আগে মৃত্যুর প্রশ্ন উঠার বিষয়ে অবন্তিকার মা আরো বলেন, এগুলো বানোয়াট কথাবার্তা। কোর্টে যখন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন উঠবে তখনই বুঝা যাবে। অবন্তিকা ৯ টায় মরুক বা ১০ টায় মরুক। মেয়ে আমার। মেয়ে মরেছে আমার।
এদিকে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, অষ্টম সেমিস্টারে ৩.৭৩ পেয়েছেন অবন্তিকা। এরমধ্যে স্পেশাল পেনাল ল কোর্সে তিনি পেয়েছেন ৩.৭৫, ল অব ক্রিমিনাল প্রোসিডিউরে পেয়েছেন ৩.৫০, কনভিয়েন্সিং, ড্রাফটিং অ্যান্ড ট্রায়াল এডভোকেসি ট্রেনিং এ ৩.৫০, লিগ্যাল রিসার্চ অ্যান্ড রাইটিং কোর্সে ৩.৭৫, লিবারেশন মুভমেন্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট কোর্সে ৪.০০ এবং মৌখিক পরীক্ষায়ও জিপিএ ৪.০০ পেয়েছেন তিনি।
এর আগে গত ১৫ মার্চ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন অবন্তিকার মা। ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।