বেড়েছে পাসের হার, কমেছে জিপিএ-৫

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০২:২৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা গতবারের চেয়ে বেশি। এবার গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতবার (২০২৩ সালে) পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে।
স্কুলের গণ্ডি পেরোনো এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা উত্তীর্ণের মোট সংখ্যার ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এই হিসাবে এবার পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ পয়েন্ট। আর পূর্ণাঙ্গ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৪৪৯ জন। গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন।
এ বছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৯২ দশমিক ৩, বরিশাল বোর্ডে ৮৯ দশমিক ১ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪ শতাংশ। সারাদেশে মোট ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ বছর ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।
যেভাবে জানা যাবে ফল
ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) অ্যান্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এছাড়া মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এজন্য ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। উদাহরণ: SSC Dha 123456 2024, লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়, শেষ হয় ১২ মার্চ। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিন বা দুই মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় পরীক্ষা দেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। কোভিড মহামারীতে এসএসসি পরীক্ষার সূচি এলোমেলো হয়ে পড়েছিল। চলতি বছর অনেকটা আগের ধারাবাহিকতায় ফেরে এই পাবলিক পরীক্ষা।
খাতা চ্যালেঞ্জ সোমবার থেকে
প্রকাশিত ফলাফলে কারো কাঙ্ক্ষিত ফল না এলে সে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন বা খাতা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। এ কার্যক্রম শুরু হবে সোমবার (১৩ মে) থেকে, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। আন্তশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, সোমবার (১৩ মে) থেকে পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন শুরু হবে, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। তিনি জানান, ফলাফলে কেউ অসন্তুষ্ট হলে তিনি চাইলে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে মাধ্যমে ঘরে বসেই তিনি এ আবেদন করতে পারবেন। পরে বোর্ড তার খাতা যাচাই-বাছাই করে দেখে আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।