মিয়ানমারের পেঁয়াজের দিকে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৩৭ এএম

পেঁয়াজ / সংগৃহীত ছবি
ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দক্ষিণাঞ্চলে সম্প্রতি বন্যা ও অতিবৃষ্টি দেখা দিয়েছে। এর ফলে পানিতে ডুবে গেছে সেই অঞ্চলের বেশিরভাগ জমি।
বন্যার মধ্য দিয়ে দেশটিতে পেঁয়াজ সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে এবং যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। এখানে পেঁয়াজের দাম বহুগুণ বেড়েছে। অবস্থাদৃষ্টে বিকল্প উৎস হিসেবে আমদানিকারকরা এখন ঝুঁকছেন মিয়ানমারের দিকে। এর কারণ হলো মিয়ানমারের পেঁয়াজ এখনও ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারের পাইকারদের তথ্য অনুযায়ী বুধবার সেখানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকায়, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ টাকায় এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৫০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও সব পেঁয়াজের দাম ১৫ টাকা করে কম ছিল।
টেকনাফ স্থলবন্দর জানিয়েছে, ভারতে পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা শুরুর পর থেকেই এই বন্দর দিয়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি বাড়তে শুরু করে। গত ১০ দিনে দুই হাজার ৮০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে মিয়ানমার থেকে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ২০ সেপ্টেম্বরের আগে দুই-এক দিন পর পর পেঁয়াজের বোট আসত টেকনাফ বন্দরে। এখন প্রতিদিন দুই-তিনটি বোট আসছে পেঁয়াজ নিয়ে। তবে মিয়ানমারের পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ায় দামও কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য তা ভারতের চেয়ে কম। ২০ সেপ্টেম্বরের আগে টেকনাফ স্থলবন্দর পর্যন্ত মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম পড়ত ৩১ টাকা। বৃহস্পতিবার টেকনাফ পর্যন্ত দাম পড়ছে ৪০ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে ৯ টাকা দাম বেড়েছে।
এ ছাড়া বন্দর সূত্রে আরও জানা গেছে, এখন সরকারিভাবে পেঁয়াজ আনার সুযোগ নেই। মিয়ানমারে লকডাউন থাকায় বিভিন্ন কম্পানি, ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তিতে পেঁয়াজ আমদানি করছেন দেশের ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে কাস্টমস সূত্র বলছে, গত ২০ সেপ্টেম্বরের পর থেকেই মূলত টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আসতে শুরু করে। তবে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে গত এক সপ্তাহে।