পেছন দিক দিয়ে বিদায় নিলেন দুদকের কর্মকর্তারা
সাত ঘণ্টায়ও খুলেনি লকার

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সাত ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) গোপন লকার খুলতে পারেনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার লকার খোলা নিয়ে চলছে নানা নাটকীয়তা। লকার খুলতে না পেরে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছন দিক থেকে বেরিয়ে যান দুদকের কর্মকর্তারা।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এসকে সুরের লকার খুলতে দুদকের সাত সদস্যের একটি টিম আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। সবকিছুর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত লকার খোলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে লকারের দায়িত্ব থাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. আমজাদ হোসাইন খানকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, এর গত ১৯ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এস কে সুরের বাসা থেকে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা জব্দের সময় তার নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে ভল্ট থাকার তথ্য পায় দুদক। পরে সংস্থাটি জানতে পারে, সেটি ভল্ট নয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল্যবান সামগ্রী রাখার লকার (সেফ ডিপোজিট)।
এরপর দুদক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে দেয়া চিঠিতে লকারের সামগ্রী স্থানান্তর ও হস্তান্তর না করতে বলে। ২১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা শাখা থেকে দুদককে ফিরতি চিঠি দিয়ে লকারের সামগ্রী স্থানান্তর স্থগিত করার তথ্য জানায়।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে বিধি অনুযায়ী ব্যাংকে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত মূল্যবান সামগ্রী তাদের নিজ নামে প্যাকেট অথবা কৌটায় নিজ দায়িত্বে সিলগালাযুক্ত অবস্থায় জমার তারিখ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত রাখা হয়।