বিজিএমইএ প্রশাসকের সঙ্গে ডব্লিউআরসি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
ওয়ার্কার্স রাইটস কনসোর্টিয়ামের (ডব্লিউআরসি) এক প্রতিনিধিদল বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতকালে প্রতিনিধিদলে ছিলেন ডব্লিউআরসিয়ের ডাইরেক্টর অব ইন্টারন্যাশনাল এডভোকেসী, তুলসী নারায়নস্বামী, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক মনোদ্বীপ গুহ এবং বাংলাদেশে ডব্লিউআরসি প্রতিনিধি সৈকত মল্লিক।
বৈঠকে বিজিএমইএ প্রশাসক ডব্লিউআরসি প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি, শিল্পের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলো, বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প কিভাবে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, শ্রমমান উন্নয়ন এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রগুলোতে বাস্তব রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গেছে, তা তুলে ধরেন।
আলোচনাকালে আনোয়ার হোসেন পোশাক শিল্পকে আরো টেকসই করতে যৌক্তিক মূল্য, যা পোশাক শ্রমিকদের কল্যানকে প্রভাবিত করে, তার উপর জোর দেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বিভিন্ন কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে, অথচ ক্রেতাদের অফার করা মূল্যে সেই বাস্তবতা ও যৌক্তিকতা প্রতিফলিত হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বে একটি নিরাপদ ও নৈতিক পোশাক সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে প্রশংসা ও স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তিনি ডব্লিউআরসি নেতাদেরকে শ্রমমান উন্নয়ন ও যৌক্তিক মূল্য পরিশোধের বিষয়ে ব্র্যান্ড/ক্রেতাদের উপর চাপ দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য চায় বাংলাদেশ
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের আগস্টে চট্রগ্রামভিত্তিক বেইস টেক্সটাইল লি. কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করে নাই। পরবর্তীতে ডব্লিউআরসি ওই কারখানাটি যে ক্রেতার কাজ করতো, কাটার এন্ড বাকের (সিএন্ডবি) সঙ্গে কথা শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে। এবং অবশেষে ৮ জানুয়ারি বিজিএমইএ, ডব্লিউআরসি, কাটার এন্ড বাক (সিএন্ডবি), বাংলাদেশ মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশন (বিগফ) এবং বেইস টেক্সটাইল লিমিটেডের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৮৭৩ জন শ্রমিককে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদান করা হয়।
বৈঠকে বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন ডব্লিউআরসি প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন যে, অস্ট্রেলিয়ান ক্রেতা মোজাইক ব্র্যান্ডস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তির বিপরীতে বিজিএমইএয়ের সদস্যভূক্ত ২৩টি প্রতিষ্ঠান পোশাক রপ্তানি করলেও ক্রেতা প্রতিষ্ঠান প্রায় ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অদ্যাবধি পরিশোধ করছে না। এতে করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকিং সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে কারখানাগুলোর শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হারানোর আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি উল্লেখিত ক্রেতার সঙ্গে আলোচনাপূর্বক এই মূদ্রা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ডব্লিউআরসির সহযোগিতা কামনা করেন।
ডব্লিউআরসি প্রতিনিধিদল বিষয়টি বিবেচনা করার বিষয়ে বিজিএমইএ প্রশাসককে আশ্বাস দিয়েছেন।