সিটি ব্যাংকের মুনাফা বাড়ল ৭৭ শতাংশ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিটি ব্যাংক তার সমন্বিত পরিচালন মুনাফায় ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। ব্যাংকের প্রথম ৯ মাসে এ মুনাফা বেড়ে ১,৬৫৩ কোটি টাকা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯৩২ কোটি টাকা। এই বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে ব্যাংকের আমানত এবং সুদ আয়ের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, সরকারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ থেকে আয় এবং অন্যান্য কার্যক্রমের সফলতা তুলে ধরা হয়েছে।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক (এমডি) এবং সিইও মাসরুর আরেফিন সংবাদ সম্মেলনে জানান, চলতি বছর শেষের দিকে
আমাদের আশা, ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা প্রথমবারের মতো ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
আমরা এই সাফল্য অর্জনে একাধিক কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছি, যার মধ্যে রয়েছে আমাদের আমানত
বাড়ানো এবং ব্যয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা।
কর পরবর্তী মুনাফা ১৯% বেড়েছে
যদিও ব্যাংকের আয়
বেড়েছে, কর পরবর্তী মুনাফা বাড়েছে ১৯ শতাংশ। গত বছরের প্রথম ৯ মাসে এটি ছিল ৩৭৯ কোটি
টাকা, যা এবার বেড়ে ৪৫১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকের অতি সতর্কতা অবলম্বন করে ঋণের
বিপরীতে অতিরিক্ত প্রভিশন সংরক্ষণের কারণে এই মুনাফা বৃদ্ধি কিছুটা সীমিত হয়েছে। তবে,
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে বছরের শেষে প্রভিশন পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকবে।
ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং আয়-ব্যয়ের অনুপাতের
উন্নতি
সিটি ব্যাংক তাদের
আয় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হলেও ব্যয় বেড়েছে মাত্র ৮.৮ শতাংশ, ফলে ব্যাংকের আয়-ব্যয়ের
অনুপাত গত বছরের ৫৪.৫ শতাংশ থেকে কমে ৪২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকের এএমডি ও সিএফও
মো. মাহবুবুর রহমান জানান, এই উন্নতির পেছনে রয়েছে ব্যাংকের পরিচালন ব্যয়ের কার্যকর
নিয়ন্ত্রণ এবং সুদ আয়ের প্রবৃদ্ধি।
আমানত বেড়েছে ১০ হাজার ১০০ কোটি টাকা
ব্যাংকটির আমানত
সংগ্রহের পরিমাণ এই ৯ মাসে ১০ হাজার ১০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ব্যাংকের সমন্বিত
অর্থনৈতিক সাফল্যের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক। ব্যাংকটি এই সময়ের মধ্যে আমানতের ব্যয় ৪.৫
শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখতে সক্ষম হয়েছে, যা তাদের ব্যয়ের কার্যকর ব্যবস্থাপনার প্রতিফলন।
ভবিষ্যৎ দৃষ্টিকোণ
মাসরুর আরেফিন আরো জানান, আমরা ভবিষ্যতে
আরো আধুনিক প্রযুক্তি এবং নতুন ব্যবসায়িক কৌশল ব্যবহার করে ব্যাংকের আয়ের পরিমাণ আরো
বাড়াতে চাই। ব্যাংকের শাখা, ডিজিটাল ব্যাংকিং পরিষেবা এবং বিনিয়োগ কার্যক্রমের মাধ্যমে
এই প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার লক্ষ্য রয়েছে।