বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে যে মন্তব্য করলেন ফরহাদ মজহার

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের কবি, দার্শনিক ও মানবাধিকার কর্মী ফরহাদ মজহার বলেছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পাওয়ার অধিকার একটি ন্যাচারাল রাইট, যা মানুষের জন্মসূত্রে প্রাপ্ত। তিনি দাবি করেন, এই অধিকার সাংবিধানিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে। সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর খিলক্ষেতে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ রূপান্তর কোন পথে?’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।
আরইবি’র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশিষ্ট কলামিস্ট, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) আহমেদ ফেরদৌস সঞ্চালনা করেন এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এস এম জিয়া-উল-আজিম সভাপতিত্ব করেন। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম এবং বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফয়েজ আহাম্মদ।
ফরহাদ মজহার বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর জনগণকে সব কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং তাদের জ্বালানির ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি শহর ও গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি জনবান্ধব জ্বালানি নীতি তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এছাড়া তিনি ‘ন্যাশনাল ফান্ড অব পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট’ এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও জবাবদিহিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
মজহার বলেন, আমরা একটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন সরকার পেয়েছি। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কোনো প্রতিষ্ঠানকে ঠিক রাখতে পারেনি। তিনি জনগণের জন্য বিদ্যুৎ সুরক্ষার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন এবং পল্লী বিদ্যুতের সঙ্গে আরইবির মধ্যে যে দ্বন্দ্ব বিদ্যমান, সেটি নিরসনের জন্য নতুন আইন প্রণয়নের কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, পল্লী বিদ্যুতের কর্মীদের মধ্যে নানা ক্ষোভ রয়েছে। তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বর্তমান আরইবির চেয়ারম্যান এ বিষয়ে অবগত আছেন।
আলোচক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের জ্বালানি ভাগ্য অবহেলার শিকার হয়েছে এবং বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মূল্য নির্ধারণে জনগণের সম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং সরকারের কাছে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করেন। তার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে— ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানি, উৎপাদন ও বিতরণে প্রকৃত খরচ নির্ধারণ করা, সরকারের সেবা খাত হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সংস্কার করা, এবং বিইআরসি আইন সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রবিধান প্রণয়ন।