×

অর্থনীতি

শ্রমিক অসন্তোষ: টালমাটাল তৈরি পোশাক খাত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শ্রমিক অসন্তোষ: টালমাটাল তৈরি পোশাক খাত

ছবি: সংগৃহীত

   
  •  আ.লীগ-বিএনপি জড়িত : আসিফ মাহমুদ
  • পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর অভিযান শুরু
  • আশ্বাসে আজ থেকে খুলছে সব কারখানা

অস্থির দেশের শিল্প খাত। তবে সবচেয়ে বিপাকে তৈরি পোশাক শিল্প। শ্রমিক অসন্তোষ মাথাচাড়া দেয়ায় এই খাত নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে শিল্পমালিক ও সরকারের। দাবি-দাওয়া নিয়ে কয়েকদিন ধরেই বিচ্ছিন্নভাবে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছিলেন পোশাক শ্রমিকরা। গতকাল বুধবার হঠাৎ বেড়ে যায় বিক্ষোভের মাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে পোশাক শিল্পে ঝুট ব্যবসায় এখনো আওয়ামী লীগের ‘প্রভাবশালীরা’ রয়ে গেছেন এবং বিএনপির লোকেরাও এখানে দখল করতে আসছেন- এমন কথা জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বিএনপিকে তাদের দলের লোকদের ‘নিবৃত্ত করার’ অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের লোকদের কঠোর হাতে দমন করার বার্তা দিয়েছেন। ‘দখলের চেষ্টা হচ্ছে’ উল্লেখ করে শ্রম উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যেসব বহিরাগতরা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেছেন, শিল্পাঞ্চল এলাকায় শ্রমিক আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করছেন বহিরাগতরা। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়ায় আজ বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দিয়েছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাত মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। মজুরি, হাজিরা বোনাস, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে কয়েকদিন ধরেই পোশাক শিল্পে চলছে চরম অসন্তোষ। পোশাক খাতের শ্রমিকরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কয়েকদিন ধরেই বিচ্ছিন্নভাবে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছিলেন। কিন্তু গত সোমবার হঠাৎ বেড়ে যায় বিক্ষোভের মাত্রা। শ্রমিকদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গাজীপুর, টঙ্গী, আশুলিয়া, কালিয়াকৈর, চন্দ্রা, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ শিল্পাঞ্চলে।

এতে শতাধিক কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়। এ অবস্থায় শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পোশাক শিল্পের মালিকরা। গার্মেন্টস মালিকরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এবং বন্যায় গত মাসের প্রায় পুরোটা সময় গার্মেন্টস বন্ধ ছিল। এবার আন্দোলনে আবারো ভাঙচুর এবং গার্মেন্টস বন্ধ হওয়ায় দৈনিক রপ্তানি ক্ষতি ৫০ মিলিয়ন ডলার; এমনকি ক্রয়াদেশ হারানোর আশঙ্কাও করছেন তারা। মিথিলা গার্মেন্টসের চেয়ারম্যান মো. আজহার খান বলেন, পণ্য ঠিকমতো না দেয়ার কারণে বায়াররা অন্যদিকে যাওয়ার চিন্তা করছে।

বিজিএমইএ বলছে, শুধু আশুলিয়াকেন্দ্রিক কারখানাগুলোতে মোট রপ্তানির প্রায় ২০ শতাংশ পোশাক তৈরি হয়। আন্দোলনে কারখানা বন্ধ থাকায় দৈনিক রপ্তানি ক্ষতি অন্তত ৫০ মিলিয়ন ডলার। বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা হিল রাকিব বলেন, প্রতিদিন কারখানা বন্ধ থাকলে আমরা ৪০ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি শুধু প্রোডাকশনে। এ অবস্থায় শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন পোশাক শিল্পের মালিকরা।

পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও শ্রম উপদেষ্টার সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন শিল্পমালিকেরা। এ সময় তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে শিল্পকারখানার নিরাপত্তা জোরদার এবং কারখানায় কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার জোরালো দাবি জানিয়েছেন। বিশৃঙ্খলার মাত্রা বাড়তে থাকায় আশুলিয়াসহ শিল্প এলাকায় কঠোর অভিযান শুরুর কথা জানায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বিষয়টিকে কঠোর হাতে দমনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন একাধিক উপদেষ্টা। গতকাল তৈরি পোশাক শিল্প খাত ও শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে জরুরি বৈঠক শেষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সাভারের আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক অসন্তোষে জড়িত বেশির ভাগই বহিরাগত। দেশের অর্থনীতি ও শ্রমিকদের রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেয়া হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ার করেছেন। তিনি বলেন, সাভারের আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক অসন্তোষে বেশির ভাগই বহিরাগতরা জড়িত।

দেশের অর্থনীতি ও শ্রমিকদের রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেয়া হবে। হাসান আরিফ বলেন, চারদিকে যে শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে, তা নিয়ে আজ আমরা বৈঠক করেছি। আমরা খবর পাচ্ছি- প্রকৃত শ্রমিক যারা, তারা কেউ নিজের বাড়ি পোড়াবে না, কারণ এখানে তার জীবিকা। এটা বহিরাগতরা এসে করেছে। তাদের আপনারা (শ্রমিকরা) বাধা দেন, আপনারা তাদের বাধা দিলে আমরাও আপনাদের সঙ্গে থাকব। এমনভাবে তারা মিশে আছে, যে তাদের আলাদা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আরো বলেন, প্রকৃত শ্রমিকরা এ ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলা করছেন না। যেখানে তার জীবিকা, সেখানে সে (শ্রমিক) ধ্বংস করবে না। আপনারা খেয়াল করে থাকবেন, যেগুলো ভাইব্রেন্ট (গুরুত্বপূর্ণ) কারখানা, কুমিল্লায় প্রাণ কোম্পানির কারখানা জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রাণ কোম্পানিতে কোনো দিন শ্রমিক বিশৃঙ্খলা ছিল না। কিন্তু এই কোম্পানি যেহেতু দিনকে দিন বিশ্ব ছেঁয়ে ফেলছে, এটা যদি নষ্ট হয়, তাহলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার অর্জন বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় কারখানা নষ্ট হয়ে যাবে, তাহলে কার লাভ হবে; কাজেই শ্রমিকরা কোনো বিশৃঙ্খলা করছেন না। যারা করছেন, তাদের অধিকাংশই বহিরাগত। তাদের কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে কারণে আমাদের একটু কঠিন হতে হবে। আমরা মনে রেখেছি, সরকার কোনো সময় তার নাগরিকের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করবে না, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কারখানা, শ্রমিক ও দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে গেলে কিছু সংখ্যকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে বিষয়ে আরো চিন্তাভাবনা করতে হবে। তারা গ্রেফতার কিংবা আটক হতে পারেন। ৫০ জন রাস্তায় বসে পড়লে পাঁচ লাখ মানুষের অসুবিধা হবে। কাজেই তাদের সরাতে যদি বলপ্রয়োগ করতে হয়, সেটা করা হবে বলে জানান তিনি।

পোশাক শিল্পে যে অসন্তোষ চলছে এর পেছনে গণঅভ্যুত্থানে বিতাড়িত আওয়ামী লীগ সরকারের লোকজনের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, এ অসন্তোষের কোনো ‘গতি প্রকৃতি বোঝা যাচ্ছে না’। ভাঙচুরের পেছনে ‘ভাড়াটে’ ও ‘টোকাইদের’ও দায়ী করা হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘বলপ্রয়োগের বার্তাও’ দেয়া হয়েছে। পোশাক শিল্পে ঝুট ব্যবসায় এখনো আওয়ামী লীগের ‘প্রভাবশালীরা’ রয়ে গেছেন এবং বিএনপির লোকরাও এখানে দখল করতে আসছেন- এমন কথাও বলেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থার উপদেষ্টা। তিনি বিএনপিকে তাদের দলের লোকদের ‘নিবৃত্ত করার’ অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের লোকদের কঠোর হাতে দমন করার বার্তা দিয়েছেন। আজই (বুধবার) অ্যাকশন শুরু হচ্ছে বলে জানিয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে আমরা মালিক ও শ্রমিকপক্ষের সঙ্গে একাধিক সভা করেছি। আমাদের শিল্প উপদেষ্টা তিনিও কথা বলছেন। সব শ্রমিক নেতার কাছ থেকে আমরা এটাই জানতে পেরেছি, এখন যে আন্দোলনগুলো হচ্ছে, শ্রমিক নেতারা এ আন্দোলনের প্রকৃতিটা নিজেরাও বুঝে উঠতে পারছেন না। কারণ এখানে কোনো নির্দিষ্ট দাবি উঠে আসছে না। কোনো নির্দিষ্ট দফা পাওয়া যাচ্ছে না।

উপদেষ্টা বলেন, যারা সাধারণত শ্রমিক আন্দোলনগুলো করে থাকেন, তারাও সেখানে সেভাবে নেই। বহিরাগত লোকজনের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় মালিকপক্ষ বেতন দিতে দেরি করছে, এজন্য আন্দোলন হচ্ছে। কয়েকটি স্পেসিফিক ফ্যাক্টরি আছে সেখানে মালিকপক্ষ পালিয়ে গেছে। সেখানে কিছুটা অসন্তোষ হয়েছে। সেগুলো আমরা অ্যাড্রেস করছি, সেগুলোর জন্য সরকার সফট লোন ঘোষণা দিয়েছে। সেটার পরিধি আরো বাড়ানো হবে।

আসিফ বলেন, তবে এই ছোট ছোট কয়েকটি সুনির্দিষ্ট জায়গায় অসন্তোষকে কেন্দ্র করে যে জায়গাগুলোতে ফ্যাক্টরি ক্লাস্টারগুলো আছে, সেখানে দেখা গেছে বহিরাগতরা এসে এবং বেকার যুব সংঘ নামে যারা কখনো শ্রম এরিয়ার মধ্যে কখনো আন্দোলন করেনি, সেখানে গাড়ি ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিক নেতারাই আমাকে বললেন, তারা সেখানে হেঁটে এসেছেন এবং তারা দেখেছেন- হেলমেট ও হাফপ্যান্ট পরা যারা টোকাই, যাদের টাকা দিয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামের জন্য ভাড়া করা হয়। তাদের সেখানে দেখা গেছে।

বিজিএমইএর সংবাদ সম্মেলন : গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় বুধবার সকাল থেকে সাভারের আশুলিয়া এলাকায় বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ করলে নিরাপত্তার স্বার্থে প্রায় শতাধিক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ।পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বিষয়ে এদিন দুপুরে সচিবালয়ে জরুরি বৈঠক করেন সংশ্লিষ্ট কয়েক জন উপদেষ্টা। পরে এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া হলে বিকালে কারখানা খোলা রাখার কথা জানায় বিজিএমইএ। বৈঠকে বিজিএমইএ নেতারা ছাড়াও এনএসআই, শিল্প পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবারও ১০০টির বেশি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। কিছু জায়গা হামলা হয়েছে। যেসব কারখানা আজকে বন্ধ ছিল আগামীকাল (আজ বৃহস্পতিবার) থেকে তা চালু হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী বিজিএমইএকে পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা রক্ষার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে বিধায় দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে বলেও জানান খন্দকার রফিকুল ইসলাম।

পোশাক কারখানায় যারা ঝামেলা করছেন তারা বহিরাগত জানিয়ে তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ সমস্যা খুবই কম। বহিরাগত কারা হামলা চালাচ্ছে তাদের চেনে না বিজিএমইএ। এদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। মাসের শুরুতে কারখানায় ঝামেলা হলেও বেতন দিতে দেরি হবে না।

বিজিএমইএর জেষ্ঠ্য সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, প্রতিদিন কারখানায় শ্রমিক ঢুকছে। কিন্তু বহিরাগতরা এসে ঝামেলা করছে। পুলিশ নিজেই আছে অস্থিরতার মধ্যে। আজকের ওসি জানে না কালকে কোথায় বদলি হবে। আর্মির হাতে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা নেই। আবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা থাকলেও তারা বর্তমানে দুর্বল। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে রাত থেকে যৌথ অভিযান শুরু হবে। এতদিন সমন্বয়ের অভাব থাকলেও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে এসব বাহিনী বৈঠক করে নিরাপত্তা দেয়ার কথা জানিয়েছে।

এর আগে বুধবার চাকরি এবং নিয়োগে নারী-পুরুষের সমান অধিকারসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পোশাক শ্রমিকরা। এদিন দুপুরে শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে গাজীপুর, সাভার এবং আশুলিয়ায় শতাধিক পোশাক কারাখানায় ছুটি ঘোষণা করে মালিকপক্ষ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App