×

অর্থনীতি

আবু আহমেদ

শেয়ারবাজারে প্লেসমেন্ট একটি বড় দুর্নীতির জায়গা

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৪, ০২:২৯ পিএম

শেয়ারবাজারে প্লেসমেন্ট একটি বড় দুর্নীতির জায়গা

ছবি: সংগৃহীত

   

শেয়ারবাজারে প্লেসমেন্ট শেয়ার আরেকটি বড় দুর্নীতির জায়গা। এটা নিয়েও রেগুলেটর কাজ করতে পারে নি। ভালো আইপিও আসছে না, আনার চেষ্টাও করা হয়নি। ইনটেনসিভ না থাকলে ভালো কোম্পানি এখানে আসবে কেন? এখানে ভালো কোম্পানি আনতে হলে কোম্পানিকে ভালো কিছু সুবিধা দিতে হবে। এই সুযোগটাও এতদিনে ব্যবস্থা করতে পারেনি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বলে মন্তব্য করেন শেয়ারবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ।

বুধবার (২১ আগস্ট) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) নিজস্ব কার্যালয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী, পরে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিএমজেএফ জয়েন সেক্রেটারি রেজওয়ান, এরপরে বক্তব্য রাখেন সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান।

জিয়াউর রহমান বলেন, একটা সময় অর্থনীতি তথা পুঁজিবাজার নিয়ে বিশ্লেষণ দেয়ার মতো তেমন কোন লোক পাওয়া যেত না, সেই সময় থেকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছের অধ্যাপক আবু আহমেদ স্যার। আমাদের এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আগামীতে যেন আমরা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ নিউজ করতে পারি, সেটাই চাই।

ডিবিএ'র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদ্দিন বলেন, একজন সাংবাদিক হিসেবে সবচেয়ে বড় কাজটা হলো, আপনি যা লিখছেন তা বস্তুনিষ্ঠ কিনা। পুঁজিবাজারের জন্য এই দিকটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বেশি লেখার দরকার নেই, যতটুকু লিখেন সেটা যেন বস্তুনিষ্ঠ হয়, এটাই মুখ্য। মানুষের কাছে সঠিক তথ্যটি প্রচার করতে হবে।

আরো পড়ুন: ব্যাংক লুটেরাদের কঠোর শাস্তি চান ব্যবসায়ী নেতারা

তিনি বলেন, আমাদের ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন থেকে বিশ্লেষণে বড় একটা সাপোর্ট ভবিষ্যতে তারা দিবেন, আমি অ্যাসোসিয়েশনের কাছে সেই দাবি রাখবো। আমার বিশ্বাস আপনাদের এই প্রশিক্ষণের মহৎ উদ্যোগটি পুঁজিবাজার বিষয়ক রিপোর্টিংয়ে বড় একটা ভূমিকা রাখবে।

অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি যে কোম্পানিতে বিনিয়োগ করবো সে কোম্পানি সম্পর্কে যদি নিজে না জানি তাহলে কেন বিনিয়োগ করলাম। নলেজের কোন বিকল্প নেই। নলেজ হচ্ছে এক ধরনের সম্পদ।

তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড খারাপ হওয়ার কথা আমরা বারবার আলোচনা করি। এক্ষেত্রে আমি মনে করি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন দায়ী। তারা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে পারে না। ফান্ড ম্যানেজার টাকা পয়সা নিয়ে ভেগে যায় কিভাবে? এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাই দায়ী।

অধ্যাপক আবু আহমেদ আরো বলেন, অর্থনীতিতে অলিগার্ন তৈরি হয়েছে। এদেরকে প্রশ্রয় দিয়ে তৈরি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো। দেশের জিডিপি গ্রোথের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত তাদের অল্প কয়েক জনের দখলে। তাহলে সাধারণ মানুষের দুর্দশা তে হবেই।

তিনি বলেন, যারা লুট করেছে, তাদের ধরতে হবে। ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংককে যারা লুট করেছে তাদের শাস্তি দিতে হবে। নাহলে জনগণের মতে আস্থা ফিরবে না।

তিনি আরো বলেন, একসময় পুঁজিবাজারে ৩৩ লক্ষ বিও হিসাব ছিল, এখন সেটি ১৩ লাখে নেমে এসেছে।

অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ড. মোহাম্মদ ইউনুস ও তার নেতৃত্বাধীন সরকার যদি দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ব্যর্থ হয়, তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়ন অন্য কেউ করে দিতে পারবে, এমন কাউকে আমি দেখি না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App