নিত্যপণ্যের দাম নাগালে রাখতে সাপ্লাই-চেইন স্থিতিশীল রাখার আহ্বান

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৭:৩১ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
ভোজ্যতেল, চিনি, আটা, ডাল, মসলাসহ সব ধরণের নিত্যপণ্যের দাম জনগণের নাগালে রাখতে সাপ্লাই-চেইন স্থিতিশীল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। ইসেনশিয়াল কমোডিটি বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুটিকয়েক কর্পোরেট কোম্পানির ওপর নির্ভরশীল না থেকে এসব পণ্য আমদানিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আমদানিকারকদের সমান সুযোগ প্রদানের সুপারিশ জানিয়েছেন তারা। এছাড়া আমদানি সংক্রান্ত জটিলতা দূর করার পাশাপাশি নিত্যপণ্যের কালোবাজারী কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের দাবিও জানান ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত ইসেনশিয়াল ফুড আইটেমস বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পাইকারী ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. গোলাম মাওলা। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইর পরিচালক এবং বাংলাদেশ পাইকারী গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ এনায়েত উল্যাহ।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, চিনি, মসলাসহ নিত্যপণ্যের কালোবাজারী রোধে এফবিসিসিআই ইতোমধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলেছে। ট্যাক্স, ভ্যাট নিয়েও কথা হয়েছে, আশা করি একটি ইতিবাচক ফলাফল মিলবে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে কেয়ারের উন্নয়ন অংশীদারিত্বের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন
নিত্যপণ্যের বাজারের সমস্যা এবং সমাধানে উপায় নির্ধারণে এই খাতের ব্যবসায়ীদের কাছে সুচিন্তিত মতামত আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে দেশের বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এজন্য সবার দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনতে হবে। ব্যবসায়ীসহ সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না।
মুক্ত আলোচনায় বক্তারা নিত্যপণ্যের চাহিদা, উৎপাদন, মজুদ ও সরবরাহ নিয়ে বাস্তবভিত্তিক একটি তথ্যভান্ডার বা ডাটাবেজ তৈরির প্রস্তাব জানান। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির জন্য কর্পোরেট কোম্পানিদের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে টিসিবিকে সরাসরি নিত্যপণ্য আমদানির আহ্বান জানান তারা। পাশাপাশি টিসিবির সক্ষমতা বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বন্ধ চিনিকলগুলো চালুর প্রস্তাব রাখেন বক্তারা। এছাড়া, নিত্যপণ্যের চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে নজরদারি আরো জোরদারের পরামর্শ দেন ব্যবসায়ীরা।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইর পরিচালকবৃন্দ, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং সদস্যবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা।