ঈদে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক নেই কক্সবাজারে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে নেই কাঙ্ক্ষিত পর্যটক। ছবি : সংগৃহীত
ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজার ছুটে আসে লাখো পর্যটক। তবে এবারের ঈদে তা ব্যতিক্রম। এবারের ঈদে টানা ৫ দিন ছুটি থাকলেও বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে নেই কাঙ্ক্ষিত পর্যটক। কক্সবাজার শহরের চার শতাধিক হোটেলের প্রায় ৩৫ শতাংশ রুম খালি রয়েছে। দেখা মিলছে হাতেগোনা মাত্র কিছু ভ্রমণপিপাসুর। তবে, আগামীকাল থেকে পর্যটকের আগমন বাড়বে বলে আশা করছেন সৈকতপাড়ের ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, সমুদ্র সৈকত ছাড়াও, ইনানী, হিমছড়ি, পাটোয়ারটেক, রামুর বৌদ্ধবিহার, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির ও টেকনাফ সমুদ্র সৈকত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে বেড়াচ্ছে পর্যটকরা। তাদের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে জেলার সব পর্যটন স্পটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এ মৌসুমে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় সাগর উত্তাল। একের পর এক ঢেউ আঁচড়ে পড়ছে উপকূলে। সাগর তার প্রকৃত রূপ নিয়ে ফিরেছে এই মৌসুমে।
আরো পড়ুন : ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরা হলো না ২ ভাইয়ের
সোমবার (১৭ জুন) বিকেল ৩টার দিকে সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, দুই কিলোমিটার লম্বা এই সৈকতে মাত্র শতাধিক মানুষ বালুচরে হাঁটছেন। সৈকতজুড়ে অন্তত ৫০০টি কিটকট (চেয়ার-ছাতা) বসানো হলেও সব কটি খালি পড়ে আছে। সৈকতে নামার মুখের দোকানপাটও বন্ধ। পর্যটকদের ছবি তুলে দেয়ার ভ্রাম্যমাণ আলোকচিত্রীরাও দাঁড়িয়ে লোকজনের অপেক্ষায় আছেন।
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা পর্যটক রিফাত বলেন, গতকাল কক্সবাজারে এসেছি। একদম ফাঁকা। আমি এর আগেও বেশ কয়েকবার এসেছি, তবে এ রকম চিত্র এইবার প্রথম। তবে, বর্ষা মৌসুম হওয়ায় সাগরের ঢেউ উপভোগ করছি।
আরেক পর্যটক রিংকু দেবনাথ বলেন, ফাঁকা কক্সবাজার অনেক ভালো লাগছে। কোলাহলমুক্ত সৈকত দর্শন করতে খুব ভালো লাগছে। আজ ঈদুল আযহার প্রথম দিন হওয়ায় মানুষ নেই। আগামীকাল থেকে পর্যটক আসবে হয়তো।
কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় দেয়া হয়েছে। তারপরও কাঙ্ক্ষিত পর্যটক নেই। আগামীকাল থেকে পর্যটক বাড়বে ইনশাআল্লাহ।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সবসময়ই প্রস্তুত। সৈকত এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সৈকতের তিনটি পয়েন্টে হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে।