ঈদের আগেই কাঁচামরিচের ডাবল সেঞ্চুরি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
একদিন পরেরই পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলমানদের ধর্মীয় এই উৎসবকে ঘিরে এক সপ্তাহ আগে থেকেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাজার সিন্ডিকেট। ঈদে যে পণ্যগুলোর চাহিদা থাকে সবার শীর্ষে, ইতোমধ্যেই দফায় দফায় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে সেগুলোর দাম।
রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। বিক্রেতারা বিষয়টি সরবরাহের সংকট বললেও ক্রেতারা ঈদকে ঘিরে ব্যবসায়ীদের শক্ত সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দেশি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত, বিদেশি (ভারত) কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি করে। এ ছাড়া, প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি করে এবং লাউ প্রতি পিস ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক সপ্তাহ আগেও বাজারে কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হতো। বৃহস্পতিবার এরপর আরো এক দফায় দাম বেড়ে বিক্রি হয় ১৬০ টাকায়। তবে এক রাতের ব্যবধানেই সেটির দাম বেড়ে এখন ২৪০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। তবে কিছুটা নিম্নমানের কাঁচামরিচ কোথাও কোথাও ২২০ টাকা নেয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন : ভারতে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
দাম বৃদ্ধির সঠিক কারণ কেউ বলতে পারছেন না। এই বিক্রেতা বলেন, দাম বাড়লে কিছু তো করার নেই। দাম বাড়লে আমাদেরও বেশি দামে কিনতে হয় এবং সেভাবে বিক্রি করতে হয়। মনে হচ্ছে বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।
গত বছর কোরবানি ঈদের আগে কাঁচামরিচ ৭০০ টাকা কেজি ছিল, চলতি বছর এ সময়ে এসে তা ২৪০ টাকায় ঠেকেছে। গত বছরের জুলাই মাসেও ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়। এ ছাড়া, দেশের কোথাও কোথাও হাজার টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রির খবর পাওয়া যায়। এরপর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ভারতের মরিচ আসায় গত ৩ জুলাই রাজধানীর বাজারে মরিচের দাম এক লাফে কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমে যায়।