হাইকোর্টের আদেশ মানছেন না ভোক্তার জব্বার মন্ডল

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ০৭:১১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শোরুম খুলে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। তবে সেই আদেশ মানছেন না জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জব্বার মন্ডল।
এর আগে সোমবার (১০ মে) তনির রিট পিটিশনের শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চ তনির শোরুম খুলে দেয়ার আদেশ দেন।
রোবাইয়াত ফাতিমা তনি জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক তার আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুণ তাকে অ্যাডভোকেট লেটার দেন। সেটি নিয়ে তনি পুলিশ প্লাজায় তার বন্ধ থাকা দোকান খুলতে যান। কিন্তু এর আগে ওই দোকানটি জব্বার মন্ডল বন্ধ করে মার্কেট কমিটির হেফাজতে রাখেন।
সোমবার সন্ধ্যায় তনি দোকান খুলতে গেলে মার্কেট কমিটির পক্ষ থেকে জব্বার মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখন জব্বার মন্ডল আপাতত দোকান বন্ধ রাখতে বলেন। ফলে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত দোকান খুলতে পারেননি তনি।আরো পড়ুন: ভারতীয় রুপির দাম কমলো
আরো পড়ুন: তেল জায়ান্ট সৌদি আরামকোর বেশিরভাগ শেয়ার কিনলো যারা
আরো পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন ছাড়ালো ৩ লাখ
এদিকে সোমবার শুনানি ও আদেশের সময় ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, ভোক্তা অধিদপ্তরের সহযোগী পরিচালক আতিয়া সুলতানা, সহযোগী পরিচালক মাসুম আরেফিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে উচ্চ আদালত এই নির্দেশনা দেন।
উচ্চ আদালতের এমন নির্দেশনার পর দোকান বন্ধ রাখা আদালত অবমাননা কিনা জানতে চাইলে আইনজীবী সৈয়দ খালেকুজ্জামান অরুণ ভোরের কাগজকে বলেন, যেহেতু অধিদপ্তরের আইনজীবী সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি অর্ডার শুনেছেন। এছাড়াও আমাদের পক্ষ থেকে লেটার দেয়া হয়েছে। এর পরে যদি ওনারা দোকান খুলতে বাধা দেন এটা নিশ্চয়ই আদালতের সঙ্গে ঔদ্ধত্বপূর্ণ কাজ। এটা তারা করতে পারে না। দরকার হলে আমরা এটা নিয়ে পিটিশন দিয়ে আদালতের নজরে আনবো।
এ বিষয়ে জব্বার মন্ডলের বক্তব্য জানতে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
তবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান ভোরের কাগজকে বলেন, বিষয়টি আপনারা যেমন শুনেছেন আমিও তেমন শুনেছি। আদালতের দেয়া রায়ের কোনো চিঠি এখনো আমাদের হাতে আসেনি। তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।
রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যদিও শুনানিকালে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহযোগী পরিচালক আতিয়া সুলতানা, সহযোগী পরিচালক মাসুম আরেফিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।