ই-জিপি জানতে ৩ দিনের সফরে শ্রীলংকার প্রতিনিধিদল ঢাকায়

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) প্রবর্তিত ইলেকট্রনিক গর্ভনমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেম বাস্তবায়নের সাফল্য সম্পর্কে জানতে, বুঝতে এবং নিজের দেশে তা বাস্তবায়ন করতে সাত সদস্য বিশিষ্ট শ্রীলংকার একটি সরকারি ক্রয় বিষয়ক প্রতিনিধিদল বিপিপিএ’র সঙ্গে ৩ দিনব্যাপী একটি অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর শুরু করেছে।
রবিবার (২ জুন) সফরকারী এ সরকারি ক্রয় বিষয়ক প্রতিনিধিদলকে বিপিপিএ’তে স্বাগত জানান বিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী। তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সেশনে শ্রীলংকার পাবলিক ফিন্যান্স দপ্তরের মহাপরিচালক ই এ রাত্নাশিলা শ্রীলংকা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
প্রতিনিধিদলে শ্রীলংকার ই-জিপি সেক্রেটারিয়েট, জাতীয় প্রকিউরমেন্ট কমিশন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও পাবলিক ফিন্যান্সের কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শ্রীলংকার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সে দেশে বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধিও রয়েছে।
আরো পড়ুন: আকরিক লোহার দাম আরো কমলো
বাংলাদেশে ই-জিপি সিস্টেমের বাস্তবায়ন জানা ও বোঝার জন্য এর আগেও ২০১৭ সালে শ্রীলংকার একটি ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল পূর্বতন সিপিটিইউ পরিদর্শন করেছে। ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পূর্বতন সিপিটিইউকে বিপিপিএ’তে রূপান্তর করা হয়েছে।
শ্রীলংকার চলতি সফরসহ এ পর্যন্ত মোট ১২ টি দেশ ও ৫ টি আন্তর্জাতিক সংস্থা ই-জিপি বিষয়ে মত বিনিময়ের জন্য বিপিপিএ বা পূর্বতন সিপিটিইউ পরিদর্শন করেছে। দেশ ও সংস্থাগুলো হচ্ছে- তানজানিয়া, মিশর, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া, অস্ট্রিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভূটান, আফগানিস্তান, নেপাল, গাম্বিয়া এবং নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আইএমএফ, উই কানেক্ট ইন্টারন্যাশনাল, কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি ও সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ (ইউকে)।
২০১১ সালের ২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি ক্রয়ের ডিজিটাইজেশনের জন্য ই-জিপি পোর্টাল উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে ই-জিপির দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটেছে। বর্তমানে ই-জিপির মাধ্যমে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকরণসহ চুক্তি ব্যবস্থাপনার সব কাজ অনলাইনে সম্পন্ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এমন একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ক্রয় ব্যবস্থা দেশে ও বিদেশে প্রশংসা অর্জন করেছে।
আরো পড়ুন: মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২২৫ কোটি ডলার
শ্রীংলকা তাদের দেশে ই-জিপি চালু করলেও বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করছে এবং এখনো পুরো সিস্টেম ডিজিটাল হয়নি। বাংলাদেশ কীভাবে ই-জিপির সফল বাস্তবায়ন করেছে তা জানতে ও বুঝতেই তাদের এ সফর বলে উল্লেখ করেছেন দলনেতা।
বিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাংলাদেশে ই-জিপি বাস্তবায়নের পটভূমি ও প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন। বিপিপিএ’র ই-জিপি সিস্টেম পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় লিড পরামর্শক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছে দোহাটেক নিউ মিডিয়া। সঙ্গে রয়েছে বেক্সিমকো আইটি ডিভিশন ও জিএসএস ইনফোটেক লি.।
প্রথম দিনে বিপিপিএ’র কর্মকর্তাগণ ও কারিগরী বিশেষঙ্গগণ উপস্থিত ছিলেন। ডাটাসেন্টার ম্যানেজমেন্ট ও ই-জিপি সিকিউরিটি বিষয়ে ছিলেন- মোহাম্মদ মইনুল হোসেন, ই-জিপিতে নতুন প্রযুক্তি বিষয়ে আবু মো. মোস্তফা, ই-জিপি সিস্টেম পরিচালনা ও ব্যবস্হাপনা বিষয়ে নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশে ই-জিপির সার্বিক বিষয় নিয়ে মো. মোশাররফ হোসেন।