পুঁজিবাজার গতিশীল করতে আইপিও’র সংস্কার জুরুরি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:৩৪ পিএম

ফাইল ছবি
অস্থিরতা কাটিয়ে দেশের পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদে গতিশীল করতে আইপিও (প্রাথমিক শেয়ার) প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা জরুরি। এক্ষেত্রে বিদ্যমান সময় সীমা কমিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে কোম্পানির অডিট রিপোর্ট (নিরীক্ষা প্রতিবেদন) হতে হবে স্বচ্ছ।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) নেতাদের সঙ্গে সোমবার শেয়ারবাজারের রিপোর্টারদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট’স ফোরামের (সিএমজেএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির মতবিনিময় সভায় এসব বিষয়ে উঠে আসে। বিএমবিএ’র কার্যালয়ে এ সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান, সিএমজেএফের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, বিএমবিএ’র সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মতিন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক এয়ার কমোডর (অব.) আবু বকর, কার্যনির্বাহী সদস্য মাহবুব হোসেন মজুমদার, সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সহ-সভাপতি এমএম মাসুদ, অর্থ সম্পাদক আবু আলী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুজয় মহাজন, মাহফুজুল ইসলাম, ইব্রাহিম হোসেন অভি, নিয়াজ মাহমুদ এবং নাজমুল ইসলাম ফারুক।
বক্তারা বলেন, শেয়ারবাজারের উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশে সেকেন্ডারি মার্কেট বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। কিন্তু ভাল কোম্পানি না এলে বাজারের উন্নয়ন সম্ভব নয়। ফলে আইপিওতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ছায়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারে অস্থিরতা চলছে। এজন্য আইপিও প্রক্রিয়া দায়ী। এ কারণে আইপিওতে নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, বাজার নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেক কথা বলা হয়। কিছু ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতার ঘাটতি ছিল। যেমন ২০১০ সালের পর বাজারে ফোর্সড সেল (বাধ্যতামূলক শেয়ার বিক্রি) বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। যে কারণে ১৫ হাজার কোটি টাকার নেতিবাচক ইক্যুইটি তৈরি হয়েছে। তারমতে, কোয়ালিটি সম্পূর্ণ কোম্পানির কথা আসছে। এই ধরনের কোম্পানির একটি সংজ্ঞা নির্ধারন করা দরকার। তিনি আরও বলেন, ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাজার এক ধরনের অবস্থার মধ্যদিয়ে চলেছে। তখন এতবেশি অস্থির ছিল না।
কিন্তু ২০১৮-২০১৯ সালে এসে বেশি অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম হল ২ বছরে অনেকগুলো অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (লিজিং কোম্পানি) বাজার থেকে টাকা তুলে নিয়েছে। এছাড়াও গ্রামীণফোনের সঙ্গে জটিলতায় বাজারে প্রভাব পড়েছে। তারমতে, গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম ১ টাকা কমলে সূচক আড়াই থেকে ৩ পয়েন্ট কমে। এছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ১ হাজার থেকে ১২শ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।