কালীগঞ্জে বাণিজ্যের দুয়ার খুলছে তেজপাতা চাষ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ০২:০৯ পিএম

কালীগঞ্জে তেজপাতার বাগান। ছবি: প্রতিনিধি।

তেজপাতার বাগান। ছবি: প্রতিনিধি।

তেজপাতার বাগান। ছবি: প্রতিনিধি।
শুধু কালীগঞ্জ উপজেলাতে ৩০ বিঘা জমিতে তেজপাতার আবাদ হচ্ছে। প্রতি বিঘায় বছরে লাভ ৮০ হাজার টাকার মতো।তেজপাতা একটি মশলা জাতীয় ফসল। ঘরে বা রেস্টুরেন্টে তেজপাতা ছাড়া রান্না হয়ই না। তরকারি ছাড়াও বিভিন্ন মিষ্টান্ন তৈরিতেও তেজাপাতা ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া অনেক ঔষধি গুণও আছে তেজপাতার। বাংলাদেশের অনেক জেলায় তেজপাতার গাছ দেখা গেলেও বাণিজ্যিকচাষ খুব কমই দেখা যায়। তবে ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলা জুড়ে বাণিজ্যিকভাবে তেজপাতার আবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলাতে আবাদ হচ্ছে প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে। চাষী আছে অন্তত ৬০ জন। তেজপাতার একটি গাছ থেকে বছরে দুবার পাতা তোলা যায়। রোগ বালাই বা ফসলের তেমন ক্ষতি না থাকায় প্রতি বিঘা থেকে বছরে প্রায় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা আয় হচ্ছে। কালীগঞ্জের সুন্দর দুর্গাপুর ইউনিয়নের আবুল কালাম আজাদ চার বছর ধরে তেজপাতা চাষ করছেন। তার নিজের ৩৫ শতাংশ জমিতে তেজপাতা চাষের জন্য বেছে নিয়েছেন। খুলনা থেকে তেজপাতার চারা এনেছিলেন। তার জমিতে ১৩০টি তেজপাতার গাছ রয়েছে। বছরে দুই বার সার দিয়ে থাকেন। বছরে প্রতি গাছ থেকে বছরে দুবার তেজপাতা সংগ্রহ করছেন। চার বছর বয়সী গাছ থেকে ৩৫ থেকে ৪০ কেজি পাতা সংগ্রহ করছেন। প্রতিকেজি তেজপাতা ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তেজপাতাচাষী আবুল কালাম আজাদ ভোরের কাগজকে জানান, তার বাগানে প্রথম বছর তিন মণ তেজপাতা উৎপাদন হয়। এর পরের বছর ৯ মণ পাতা সংগ্রহ করেন। সর্বশেষ গেল বছরে তেজপাতার বাগান থেকে ২৩ মণ পাতা সংগ্রহ করেছেন। আসছে মৌসুমে ২০ মণ পাতা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। আবুল কালাম আরো জানান, প্রতি কেজি তেজপাতা পাইকারি ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি করে বাগান থেকে আয় করেছেন এক লাখ টাকার মতো। খরচ বাদ দিয়ে তার লাভ হয়েছে ৮০ হাজার টাকার মতো। এলাকার অন্য চাষীদের ভাষ্য, তেজপাতা চাষে তেমন খরচ হয় না। চারা লাগানোর পর শুধু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাই প্রধান কাজ। রোগ বালাই নেই বললেই চলে। তবে বসন্তকালে পোকার আক্রমণের আশঙ্কা থাকে। সে সময় ওষুধ প্রয়োগ করলে সে আশঙ্কা থাকে না। বিঘা প্রতি তেজপাতার উৎপাদন খরচ মাত্র ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার মতো। আরো কয়েকজন চাষী জানান, তেজাপাতার সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে হলুদ, কলাগাছও লাগানো যায়। এতে এক সঙ্গে দুই ধরনের ফসল পাওয়া যায়। [caption id="attachment_195350" align="aligncenter" width="1280"]

