বড় করদাতাদের কর ভার কমানো হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:৫৫ পিএম

আগামীতে উপজেলা পর্যায়ে রাজস্ব বোর্ডের অফিস স্থাপনের মাধ্যমে করের আওতা ও করদাতা বাড়ানোর মাধ্যমে বড় বড় করদাতাদের করভার কমানো হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুন বাগিচার এনবিআরের কনফারেন্স কক্ষে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই-এর সভাপতি ওসামা তাসীর, এনবিআরের একাধিক সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পাশাপাশি ডিসিসিআই সহসভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, সহসভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক রাশেদুল করিম মুন্না, হোসেন এ সিকদার, এনামুল হক পাটোয়ারি, এস এস জিল্লুর রহমান, আন্দালিব হাসান, দ্বীন মোহাম্মদ, আশরাফ আহমেদ, নূহের লতিফ খান উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান বলেন, যারা ট্যাক্স দিচ্ছে তারাই দিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে করদাতা তেমন পাচ্ছি না। জেলা পর্যায়ে ট্যাক্স অফিস হয়েছে। আগামীতে এটি উপজেলা পর্যায়ে করা হবে। এ ক্ষেত্রে বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উচ্চ হারে ট্যাক্স না নিলেও চলবে। পাশাপাশি আমাদের শিল্পায়নের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। রেভিনিউ যদি ঠিকমতো না আসে তাহলে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কীভাবে চলবে। তাই রাজস্ব আহরণের দিকেও সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে। তিনি বলেন, বাহুল্য কম এই ধরনের বাজেট হলে ভালো হয়। অনেক সময় ছাড় দিতে হয়। আসলে সব বিষয় নিয়েই বাজেট হয়। আমরা গত বছরও করপোরেট ট্যাক্সের ওপর ছাড় দিয়েছি। ভারতের চেয়ে আমাদের করপোরেট ট্যাক্স অনেক কম। তবে সরকারের পর্যায়ক্রমে ট্যাক্স কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সেটি আমরা দেখব। ডিভিডেন্ডের ওপরও ট্যাক্স কমানোর বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। এর আগে ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসির বাজেটে করপোরেট কর কমানোর পাশাপাশি ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের আয়কর আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকায় উন্নতি করাসহ ২০ প্রস্তাব দেয়। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের প্রস্তাবের লক্ষ্যে ও উদ্দেশ্য হলো বেসরকারি বিনিয়োগ-জিডিপির অনুপাত বৃদ্ধি। কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়ানো। সংগঠনের প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে- পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করে হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা পুঁজিবাজারে লিস্টেড ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স এবং এনবিএফআইয়ের করহার ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ করা ইত্যাদি। ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের আয়কর ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকায় উন্নতি করা।
ডিভিডেন্ডের আয়ের ওপর আরোপিত কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা। ব্যক্তি পর্যায়ে করদাতার জন্য শিক্ষা ভাতা প্রদান করা, গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ করলে উক্ত ক্ষেত্রে আয়কর মুক্ত রাখা। বিনিয়োগে কর রেয়াত সুবিধা এবং করের আওতা বৃদ্ধির জন্য অঞ্চলভিত্তিক করদাতাদের চিহ্নিত করে তাদের করের আওতায় আনা।