দৈনিক গ্যাস উৎপাদনে ঘাটতি ১৫০০ ঘনফুট

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৩, ০৯:৫৪ পিএম

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্রগুলোতে দৈনিক প্রায় ২ হাজার ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতার বিপরীতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে (এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত) গ্যাস উৎপাদন দৈনিক প্রায় ২ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু বর্তমানে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৩ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ দেড় হাজার ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি রযেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যে ঘাটতি পূরণ করতে চাহিদার তুলনায় দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্র হতে উৎপাদন ১ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট কম হওয়ায় এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া রেশনিং-এর মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
দেশীয় উৎসের উৎপাদিত গ্যাস এবং আমদানিকৃত এলএনজি সমন্বয়ে দৈনিক প্রায় ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে আটটি গ্রাহক শ্রেণিতে সংযোগকরা অনুমোদিত গ্যাস লোড অনুযায়ী দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের বর্তমান চাহিদা দৈনিক প্রায় ৩ হাাজর ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট (ডাইভার্সিটি ফ্যাক্টর বিবেচনায়)। দেশে ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির (তিতাস গ্যাস, বাখরাবাদ গ্যাস, জালালাবাদ গ্যাস, কর্ণফুলী গ্যাস, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস এবং সুন্দরবন গ্যাস) মাধ্যমে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ পাওয়ার, শিল্প, সারকারখানা, সিএনজি, গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক ও চা-বাগান শ্রেণিতে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে ঘাটতি পূরণে সরকার আমদানি অব্যাহত রেখেছে।