ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশদাতা কে, জিজ্ঞাসাবাদে জানালেন পলক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ পিএম

ইন্টারনেট বন্ধের এ নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত
গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধ কোনো দুর্ঘটনা ছিল না, বরং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয় বলে জানিয়েছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) জিজ্ঞাসাবাদে জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। ইন্টারনেট বন্ধের এ নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তিনি স্বয়ং স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, এই ইন্টারনেট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশ আসার পর তথ্য প্রতিমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) এর একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়। সেই গ্রুপে নির্দেশ দেয়া হয় ইমিডিয়েটলি ইন্টারনেট শাটডাউন করো এবং তাদেরকে এটা এনশিওর করতে বলা হয়, করার পর জানাও যে, ইট ইজ ডান।
তিনি বলেন, এই তথ্যগুলো আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে পেয়েছি, সেগুলো যাচাই বাছাই এর জন্য সেই সংশ্লিষ্ট আসামিকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি এটা সত্যায়ন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে গত জুলাই-অগাস্টে সংঘটিত গণহত্যা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে দেশব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পেছনে জুনাইদ আহমেদ পলক ডেটা সেন্টারে আগুন, সাবমেরিন কেবলের তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ নানা কথা বলেছিলেন।
সেসময় মুঠোফোনে বার্তা পাঠানো হয়েছিল, ‘সন্ত্রাসীদের আগুনের কারণে ডেটা সেন্টার পুড়ে যাওয়া এবং আইএসপির তার পুড়ে যাওয়ার কারণে সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত, মেরামত করতে সময় লাগবে।’
পরে ১৩ই অগাস্ট ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, জুনাইদ আহমেদ পলক নিজে, বিটিআরসি ও এনটিএমসি ইন্টারনেট বন্ধে জড়িত।
এছাড়া ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্যই বিচারের বৈধতা নিয়ে সাবেক সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল আহসান প্রশ্ন তুলেছেন বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর। তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচারে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
জুলাই গণহত্যায় বিভিন্ন মামলায় সাবেক এসপি আব্দুল্লাহেল কাফি ২৬ ডিসেম্বর, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলামকে ২৫ ডিসেম্বর ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ৩০ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আরো পড়ুন : পলক ভাই, ইন্টারনেট আছে? সাংবাদিকদের যে জবাব দিলেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী