শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা, দুই পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ পিএম

পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। ছবি : সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, বরখাস্ত হওয়া সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদ্য যোগদান করা রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে তাজহাট থানায় রেকর্ড হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার করে তাদের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ১৯ আগস্ট নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী রংপুরের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজু আহমেদের আদালতে হত্যা মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। গত ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ নিরস্ত্র, একা থাকা ও পুলিশের জন্য কোনো হুমকি না হওয়া সত্ত্বেও শটগান দিয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে গুলি করে পুলিশ। আবু সাঈদ পড়ে গিয়ে একাধিকবার দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও আসামিরা পরিকল্পিতভাবে নৃশংসভাবে গুলি করেন।
আরো পড়ুন : আবু সাঈদ হত্যা মামলা: ২ পুলিশ সদস্যকে পিবিআইতে হস্তান্তর
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন বেলা দুইটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়ার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে আবু সাঈদ পিছু না হটে দুই হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দিয়ে এগিয়ে যান।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিরস্ত্র আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।