ইনু ৭ দিন ও মেনন ৬ দিনের রিমান্ডে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

হত্যা মামলায় দুজনকে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে দুজনকে হত্যা মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ৭ দিনের ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালত নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় ইনুর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত আদাবর থানায় দায়ের হওয়া পোশাককর্মী রুবেল হত্যা মামলায় মেননের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ওয়াদুদ হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে ছিলেন মেনন।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গতকাল বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে দুই আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। এরপর ৫টা ১০ মিনিটের দিকে এজলাসে তোলা হয়। ইনু ও মেননকে এজলাসে নিয়ে যাবার সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তাদের ওপর চড়াও হন। এ সময় অনেকে তাদের উদ্দেশ্য করে ডিম ও জুতা ছুড়ে মারেন। ডিমের তরলে ইনুর শরীর কাকভেজা হয়ে যায়। এজলাসে তোলার পর ইনু ও মেননের ফাঁসির দাবিসহ রিমান্ডের জোর দাবি জানান ওই আইনজীবীরা। অনেকে বেঞ্চের ওপর উঠে গালিগালাজসহ মারতেও তেড়ে যান। এ সময় ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। একসময় দেখা যায়, মেনন একা কাঠগড়ায় দাঁড়াতে পারছেন না। তাই দুজন পুলিশ তার হাত ধরে আছেন। মাঝে মাঝে মুখ ও চোখ মোছেন হাসানুল হক ইনু। মলিন মুখে তাদের দুজনকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। রিমান্ড আদেশ শেষে আসামিদের নিয়ে যাবার সময়ও অনেককে ডিম ও জুতা ছুড়তে দেখা যায়।
গত সোমবার বিকালে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে ইনুকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরপর নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার গুলশান এলাকা থেকে রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর নিউমার্কেট থানার ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
গত ১৯ জুলাই বিকাল ৫টায় নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেটের সামনে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাগনি জামাই আব্দুর রহমান। এছাড়া গত ৫ আগস্ট আদাবরের রিংরোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান পোশাককর্মী রুবেল। এরপর গত ২২ আগস্ট রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।