চাটমোহর বাসস্ট্যান্ড-নার্সারী সড়কের বেহালদশা, দেখার কেউ নেই

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২১, ১১:১২ এএম

ভাঙাচোরার মাঝে গর্ত, সেই গর্তে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সূষ্টি হয়ে সাধারনের ভোগান্তি। ছবি: ভোরের কাগজ
পাবনার চাটমোহরের ব্যস্ততম সড়কগুলোর একটি বাসস্ট্যান্ড থেকে নার্সারী পর্যন্ত এই সড়কটি। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন নানা পেশাজীবির অসংখ্য মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা সড়কের গর্তে নাজেহাল হচ্ছে পথচারী ও যানবাহন চালকরা। একটু বৃষ্টিতেই সড়কটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
ভাঙাচোরার মাঝে গর্ত, সেই গর্তে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সাধারণ মানুষের কাছে ভোগান্তির আরেক নাম। পৌরসভার অন্যতম প্রধান এ সড়ক যেন অবহেলা ও বঞ্চনার স্বীকার। ভাঙা সড়কের পাশপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বাসস্ট্যান্ডের আশপাশে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। পানি বের হতে না পেরে দ্রুত ভেঙ্গে পড়েছে সড়কটি। কবে নাগাদ সংস্কার হয়ে জনমনে স্বস্তি মিলবে তা জানে না কেউ।
স্কুলশিক্ষক মনিরা পারভীন বলেন, বাসস্ট্যান্ড এলাকা অবহেলিত হয়ে গেছে। কেউ দেখছে না। এ এলাকার কেউ ভোট দেয়নি নাকি। ভাঙ্গাচোরা রাস্তাঘাটে চলাচল করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে থাকে। ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নাই।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, বাসস্ট্যান্ডের এই সড়কে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের বেচাকেনা কমেছে অনেক। ক্রেতা আর আসতে চায় না রাস্তা ভাঙার কারণে। দুঃসময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন আলম ও ইমরান হোসেন বলেন, প্রায়ই ভাঙা সড়কের গর্তে গাড়ি উল্টে যায়। পথচারী আহত হয়। পায়ে হেঁটে যাবার অবস্থা নেই। বারবার জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েও লাভ হয়নি। সবার দাবি দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হোক।
ভ্যানচালক ফরিদুল ইসলাম বলেন, মাঝে মধ্যেই এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় যানবাহন গর্তে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। খুব কষ্টের মধ্যে চলতে হচ্ছে। এ সড়কে যাত্রী পাওয়া যায় না।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চাটমোহর পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো বলেন, ইতিপূর্বে বরাদ্দ এলেও তৎকালীন মেয়র কোনো কাজ করেননি। তবে আমি দায়িত্ব নেবার পর থেকে বেশকিছু সড়কের উন্নয়নকাজ শুরু করেছি। বাসস্ট্যান্ড সড়কটির জন্য তিনি ইতিমধ্যে বরাদ্দ চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই সড়কটির সংস্কারকাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।