বোয়ালমারীতে ঠিকাদারদের দখলে স্কুল মাঠ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২১, ০৩:১৯ পিএম

বোয়ালমারীতে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে নির্মাণ সামগ্রী
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার ও গাছ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ময়না ইউনিয়নে অবস্থিত উত্তর গৌরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঘোষপুর ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে স্তূপ করে রাখা হয়েছে ইট, বালি ও খোয়াসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী।
গত দুই মাসের অধিক সময় ধরে ওই দুই বিদ্যালয়ে এসব নির্মাণ সামগ্রী রেখেছেন পার্শ্ববর্তী হাটখোলার বটতলা থেকে গোহাইলবাড়ি বাজার পর্যন্ত এবং সাতৈরের কান্দাকুল ডেইরি মিল্ক থেকে গোহাইলবাড়ি পর্যন্ত রাস্তার কাজের ঠিকাদাররা। এছাড়া ওই দুই বিদ্যালয়ের মাঠে কাঠ ব্যবসায়ীরা বিক্রির উদ্দেশ্যে তাদের কাঠের গুঁড়ি রেখেছেন। এতে বিদ্যালয়ের মাঠ পুরোটাই বেদখলে। বালিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে স্তূপ করে রাখা নির্মাণ সামগ্রীর ধূলায় নবনির্মিত ওই বিদ্যালয়ের ভবনের রং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয় দুটির মাঠ গত দুই মাস ধরে সড়ক মেরামতের জন্য ব্যবহার করছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা।
এ ব্যাপারে উত্তর গৌরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশীষ কর জানান, ‘বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোদাচ্ছের হোসেনের সাথে কথা বলে আমি সবার সম্মতিক্রমে কাজ পাওয়া ঠিকাদারকে নির্মাণ সামগ্রী রাখার অনুমতি দিয়েছি।’
এ বিষয়ে ওই রাস্তার কাজ পাওয়া জাহিদ এন্ড ব্রাদার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার গৌতম সাহা বলেন,‘নির্মাণ সামগ্রী মূলত সরকারি স্থাপনাতেই রেখে করা হয়। তারপরও আমি ২-৩ দিনের মধ্যে বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে সব মালামাল সরিয়ে নেব।’
উত্তর গৌরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের মাঠের এক পাশের নিচু জায়গা ওই ঠিকাদারের ভরাট করে দেওয়ার শর্তে নির্মাণ সামগ্রী রাখার অনুমতি দিয়েছি।'
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবু আহাদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এক মাস আগেই সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকদের বলেছি মাঠ পরিস্কার করার জন্য ঠিকাদারদের বলতে।’এ সময় তিনি দ্রুত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করার জন্য পদক্ষেপ নিতে উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেন।
এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।