আগাম জাতের আলু চাষে লাভের আশায় নীলফামারীর কৃষকরা ব্যস্ত

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০৯ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
নীলফামারীর ৬ উপজেলার কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। লাভের আশায় মাঠে নেমেছেন তারা, বিশেষত কিশোরগঞ্জ উপজেলা, যা আলু উৎপাদনের জন্য জেলার মধ্যে বিশেষভাবে পরিচিত। এখানকার আলু প্রতি বছর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হয়।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা কেউ আলু বীজ রোপণে, কেউ ড্রেন তৈরিতে, আবার কেউ সেচ কাজ ও আগাছা পরিষ্কারের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর আগাম জাতের আলু চাষে উৎসাহী কৃষকদের মতে, আলুর বীজের দাম বেশি হলেও লাভের সম্ভাবনা ভালো।
পানিয়াল পুকুর এলাকার কৃষক আব্দুর রউফ জানান, তিনি এ বছর ৩ বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করছেন। গত বছর এই আলু ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ বছর দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে বলে আশা করছেন তিনি।
একই গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ জানান, স্বল্পমেয়াদি এ আলুর জাতটি তাদের দ্বিগুণ লাভ করতে সহায়তা করছে। এ বছর স্বল্প বৃষ্টিপাতের কারণে আলু চাষের পরিবেশ অনুকূল ছিল এবং আগাম আলু চাষ করা সম্ভব হয়েছে।
আরো পড়ুন: স্বামীর লাথির আঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু
নীলফামারীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্রুত বর্ধনশীল ফসলের জন্য জেলার উঁচু বা বালুকাময় পলিমাটি খুবই উপযোগী, যা কৃষকদের আগাম আলু চাষে উৎসাহী করে তুলেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, কৃষকের পণ্য সরাসরি ভোক্তার হাতে পৌঁছাতে পণ্যের দামে বেশ পরিবর্তন হয়। সচেতন মহল বাজার পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার দাবী জানাচ্ছেন।