খুলনায় ৯৯১ মণ্ডপে দুর্গাপূজা, কমেছে ৫৪টি

বাবুল আকতার, খুলনা থেকে
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৩ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
খুলনাসহ দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আসন্ন। এ উপলক্ষে খুলনা জেলার ৯৯১টি মণ্ডপে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে, গত বছরের তুলনায় এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা ৫৪টি কমেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে এ বছর অনেক মন্দির কর্তৃপক্ষ পূজা উদযাপনের আকার সীমিত করেছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্যমতে, খুলনা মহানগরের ১০১টি মণ্ডপসহ জেলার ৯টি উপজেলায় ৮৯০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা মহানগরীর খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা, লবণচরা, হরিণটানা, খালিশপুর, দৌলতপুর, খানজাহান আলী ও আড়ংঘাটা থানায় পূজার আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, তেরখাদা, পাইকগাছা, দাকোপ, দিঘলিয়া, ফুলতলা, রূপসা ও কয়রায় পূজার প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া ও তেরখাদা উপজেলায় মণ্ডপের সংখ্যা কমেছে।
প্রতিমা নির্মাণে ভাস্করদের ব্যস্ততা
খুলনায় প্রতিমা তৈরির ভাস্কররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কাজে। নগরীর শিববাড়ি মন্দির, ধর্মসভা, শীতলাবাড়ি, বড়বাজারসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। প্রতিমা নির্মাণের বিভিন্ন ধাপে খড় এবং মাটির কাজ শেষ হওয়ার পর শুরু হবে রঙতুলির আঁচড়। দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুরসহ ১২টি প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরার আশাশুনি থেকে আসা শিল্পী চন্দ্রশেখর মণ্ডল জানান, এ বছর মণ্ডপের সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রতিমা তৈরির কাজও কমেছে। তিনি বলেন, গত বছর ৬ থেকে ৭টি মণ্ডপে কাজ করেছি, কিন্তু এবার মাত্র ৪টি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছি।
পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
পূজা উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে পালনের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। কেএমপি সদর দপ্তরে ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার পূজার সময় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপের ঘোষণা দেন।
প্রতিটি পূজামণ্ডপে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা, পাশাপাশি আনসার বাহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং যৌথবাহিনী পূজা চলাকালীন সময় টহল দেবে। প্রতিটি মণ্ডপে ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে এবং আজান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখা হবে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এ সভায় জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো প্রকার গুজব ছড়ালে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো পড়ুন: বিএনপির ৬ নেতাকে শোকজ
শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে খুলনা জেলা প্রশাসন এবং মেট্রোপলিটন পুলিশের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।