ভুয়া ঠিকানায় চাকরি নিয়ে ঘুষ দিয়ে নিজ উপজেলায় বদলি

সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
মো. মাসুদ ভুঁইয়া নামে এক যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে নিজ উপজেলায় বদলি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মো. মাসুদ ভুঁইয়া ১৯৯৫ সালে নিজ উপজেলা সোনারগাঁও এবং নিজ জেলা নারায়ণগঞ্জের তথ্য গোপন করে বরিশাল জেলার ঠিকানা ব্যবহার করে গ্রুপ এনিমেটর পদে চাকরি নেন।
কিন্তু কর্মস্থলে নিয়মিত অফিস না করে তিনি সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নে নিজ গ্রাম বুরুমদীতে ওষুধের দোকান এবং জমি মাপার (সার্ভেয়ার) কাজ করে আসছিলেন। যুব উন্নয়নে অফিস না করেও নিয়মিত ওই সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, পদোন্নতি নিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হয়েছেন। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তারা নিজ উপজেলায় পদায়নের বিধান না থাকলেও মাসুদ ভুঁইয়া টাকার বিনিময়ে সম্প্রতি নিজ উপজেলা সোনারগাঁওয়ে বদলি হয়ে আসছেন।
আরো পড়ুন: গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাসুদ ভুঁইয়ার নিজ গ্রাম বুরুমদীর জনপ্রতিনিধি সাবেক মেম্বার ওসমান বলেন, মাসুদ ভুঁইয়ার তার ছোট ভাইয়ের নাম মো. ইকবাল হোসেন ও তার বাবার নাম সামসুল ইসলাম, তিনি বুরুদী গ্রামের বাসিন্দা। মাসুদ ভুঁইয়ার স্ত্রী নিলুফা আক্তার বুরুমদী আব্দুল লতিফ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন এবং তাদের সংসারে তিনজন কন্যা সন্তান রয়েছে। এলাকায় তিনি কবির নামেই বেশি পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকায় ওষুধের দোকানদারি ও জমি পরিমাপের কাজ করে আসছেন। এখন শুনছি তিনি নাকি নিজ উপজেলা সোনারগাঁওয়ের যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে বদলি হয়ে আসছেন।
এ ঘটনায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন এবং ভুয়া ঠিকানা ও ঘুষের বিনিময়ে নিজ উপজেলায় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার পদে বদলি হওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদ ভুঁইয়াকে ফোন করলে তিনি প্রশ্ন শুনেই জরুরি কাজ আছে বলে ফোন কেটে দেন। দেড় ঘণ্টা পর পুনরায় ফোন করলে তিনি সুনিদির্ষ্ট ঠিকানা দেয়নি এবং প্রতিবেদকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে এ কথা বলে ফোন কেটে দেয়।