সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে ৪ লাখ টাকা ভাগাভাগির অভিযোগ

বাবুল আকতার, খুলনা থেকে
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম

খুলনা সিভি সার্জন অফিস। ছবি: সংগৃহীত
এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন দুই গ্রুপের ৪ দিনের প্রক্ষিণ না করে মাত্র ৩ ঘণ্টায় শেষ করেছেন খুলনা সিভিল সার্জন অফিস। এই প্রশিক্ষণের খরচ বাদ ৪ লাখ টাকা ভাগা ভাগি করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সিভিল সার্জন ডা. সেখ সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, এই প্রশিক্ষণের জন্য ৪ দিনের কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তবে বাস্তবে তা দুই গ্রুপের জন্য মাত্র ৩ ঘণ্টায় শেষ করা হয়। খুলনা বিভাগের ৯টি উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন। যদিও খুলনা বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ বলেছেন, তিনি প্রশিক্ষণের বিষয়ে কিছু জানেন না।
সিভিল সার্জন অফিসের একটি দপ্তরাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২’ সফল করতে জেলা, উপজেলা এবং পৌরসভা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। ২৭ ও ২৮ আগস্ট এবং ২৯ ও ৩১ আগস্ট দুই ব্যাচে প্রশিক্ষণ আয়োজনের কথা ছিল, যেখানে ৫৬ জন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করার কথা ছিল।
কিন্তু বাস্তবে, ২৭ আগস্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে শুরু হওয়া মাসিক সভার পর দুপুর ১২টায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়ে ৩টায় শেষ হয়। অভিযোগ রয়েছে, এভাবে ৪ দিনের প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ করা ৪ লাখ টাকা ভাগাভাগি করা হয়েছে। আরো অভিযোগে জানা যায়, ৪ দিনের ট্রেনিং না করে ৪ দিনের খরচ দেখিয়ে ভাউচার তৈরি কর হয়েছে।
এদিকে, সিভিল সার্জন ডা. শেখ সফিকুল ইসলামের ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। প্রশিক্ষণের ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এবং তারা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় খুলনা বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মনজুরুল মুরশিদ বলেছেন, আমি প্রশিক্ষণের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
আরো পড়ুন: খালেদা জিয়ার প্রতীকী সাজের কারণে ঝড় বয়ে যায় স্কুলছাত্রীর পরিবারে
জানা গেছে, অভিযোগের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই বিষয়টি নিয়ে সিভিল সার্জন অফিসে কর্মরতদের মধ্যে উদ্বেগ ও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।