টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফটিকছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৪, ০১:১৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বিগত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফটিকছড়ির অন্তত ১০ টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে উপজেলার প্রধান সড়কগুলো মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকে ডুবে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন দুর পাল্লার যাত্রী ও সাধারণ মানুষ।
এছাড়া হালদা, ধূরুং, লেলাং, সর্তাসহ বেশ কয়েকটি খালে ভাঙন দেখা দেয়ায় পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (২১ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দাঁতমারা, নারায়ণহাট, ভুজপুর, পাইন্দং, হারুয়ালছড়ি, সুয়াবিল, লেলাং, রোসাংগিরি, সমিতিরহাট ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পানির নিচে।
ইউনিয়নগুলোর অধিকাংশ বিলের রোপা আমন ও বর্ষাকালীন সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকার মাছের ঘের ও ছোট-বড় অধিকাংশ পুকুর ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি মুরগী- গবাদি পশুর খামারগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আরো পড়ুন: ফেনীর ৮০ গ্রাম প্লাবিত, উদ্ধার কাজে বিজিবি
এদিকে, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-সদস্য এলাকায় অনুপস্থিত থাকায় সৃষ্ট বন্যা মোকাবেলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
নানুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুন নবি রোশন বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মানুষের ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। আজকের মধ্যে বৃষ্টি বন্ধ না হলে পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যক্তিগত ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির ফলে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে হালদা নদী ও ধুরুং খালের অধিকাংশ স্থানে ভাঙ্গনের ফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিধিদের কাজে লাগানো হয়েছে। ক্ষতির বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সবকটি এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।