পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া চিঠিতে যা লেখা ছিল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবারো মিলেছে বেশ কিছু চিরকুট এবং চিঠি। এসব চিঠিতে আল্লাহর কাছে বিভিন্ন মনের বাসনা পূরণের কথা জানিয়েছে অনেকেই। শনিবার (১৭ আগস্ট) কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়।
সকাল সাড়ে আটটার জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এবং ঘাটাইল সেনানিবাসের সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তরিকুল ইসলাম পিবিজিএম এনডিসি পিএসসির উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।
এক মুসলিম নারী এক খ্রিষ্টান ছেলেকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চিঠি রেখেছেন দানবাক্সে। গোপনে ভালোবেসে ফেলা ছেলেটিকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে নানা আকুতি তুলে ধরা হয়েছে ওই চিঠিতে। এতে লেখা হয়, ‘আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমার নাম......, আমি একজনকে অনেক ভালোবাসি, সারাদিন তার চিন্তা আমার মাথায় ঘুরে। ওর কথা মনে পড়লে অনেক কান্না আসে। আমি আমার পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারি না। ও আমার ব্যাপারে কিছুই জানে না, আমি ওর ব্যাপারে সব জানি। ও খ্রিষ্টান আমি মুসলমান, আমি আল্লাহর কাছে অনেক দোয়া করি। প্রতিদিন নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বলি যাতে ও মুসলমান হয়ে যায়। আমি চাই ও আমার জন্য হালাল হয়ে যাক। আল্লাহ ওকে আমার জন্য হালাল করে দেন। আমি ওর প্রতি দুর্বল ওকে কিছুতেই ভুলতে পারি না। আমি ওকে ভুলতেও চাই না। আমার অনেক ভয় লাগে, ও যেন অন্য কারো হয়ে না যায়। আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন তকদিরে দিয়ে দোয়া করবেন। আমার সালাম নিবেন।’
একটি চিঠিতে সৎভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়েছে। এতে লেখা হয়েছে আল্লাহ যেন তাকে সম্পদশালী করেন। কোটিপতি হলে ওই টাকা থেকে প্রতিবছর পাগলা মসজিদে একটি করে ছাগল অথবা ছাগলের সমপরিমাণ টাকা দান করবেন বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। নাম ঠিকানা বিহীন অপর একটি চিঠিতে লেখা হয়, আল্লাহ শেখ হাসিনাকে তুমি তার বাবার কাছে পাঠিয়ে দাও, আমিন।
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে নগদ টাকা সোনাদানার সঙ্গে এমন অসংখ্য চিঠি পাওয়া গেছে। সংবাদমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এসব চিঠি নিয়ে রিপোর্ট করা হয়েছে। তবে এসব চিঠি বিষয় নজরে আসার পর পাগলা মসজিদ কর্তৃপক্ষ চিঠিগুলো জনসমক্ষে প্রকাশ থেকে বিরত রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন।