অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হলেন তাহিরপুরের ইউএনও সালমা পারভীন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন
হাওর বেষ্টিত ভাটির জেলা সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছেন।
বুধবার (১০ জুলাই) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার যুগ্ম সচিব ড. আশরাফুল আলম স্বাক্ষরিত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীনকে গোপালগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
৩৩তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের সদস্য সালমা পারভীন ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি সততা ও দক্ষতার সঙ্গে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।
আরো পড়ুন: হত্যা মামলার ১১ বছর পর চার আসামির ফাঁসি
প্রায় সাত মাসের ব্যবধানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন তাহিরপুর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন তাহিরপুর উপজেলার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিরোধে কঠোর ভূমিকা পালন করেন। এতে তৎকালীন সরকার দলীয় এবং সরকার বিরোধীরা তার কাছে কোনো ধরণের অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করতে শুরু করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার সততা ও দক্ষতার মূল্যায়ন করে তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়ন করেন।
শুক্রবার (১২ জুলাই) জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন এ প্রতিবেদককে বলেন, তাহিরপুর সুনামগঞ্জ জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন সারাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, সে হিসেবেই আমাকে তাহিরপুরে পদায়ন করে ছিলেন আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। আমার বিশ্বাস দক্ষতার সঙ্গে আমি সে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়েছি। তাছাড়া হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের মতো একটি জটিল ও জনগুরুত্বপূর্ণ কাজও আমি সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। অবহেলিত, অনুন্নত ভাটির জনপদ তাহিরপুরবাসীর জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস হচ্ছে বোরো ফসল। তাই এ বিষয়ে আমি কারো সঙ্গে কোন আপোষ করিনি। এ ছাড়াও গত ১৫ দিনের ব্যবধানে জেলাসহ তাহিরপুরবাসী দুবার বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। সে ক্ষেত্রেও আমি সর্বাত্মকভাবে তাহিরপুরবাসীর পাশে ছিলাম। সেই সঙ্গে তাহিরপুরের উন্নয়ন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। তারপরেও আমার ভুলত্রুটি হওয়া স্বাভাবিক। তবে তাহিরপুরবাসী আমাকে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করেছেন। এজন্য আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং তাহিরপুর বাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। আমার পরবর্তী কর্মস্থলের জন্য আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ তাহিরপুরাসীর কাছে আমি দোয়া প্রার্থী।