যমুনার পানি বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপরে, বন্যার আশঙ্কা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম

সিরাজগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা। ছবি : সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দ্রুতগতিতে পানি বাড়ায় বন্যা আতঙ্কে দিন কাটছে নদী পাড়ের মানুষের।
সেই সঙ্গে করতোয়া, ফুলজোড়, হুড়াসাগর ও চলনবিলের নদ-নদীর পানি সমানতালে বেড়েই চলেছে। দ্রুত পানি বৃদ্ধির কারণে চরাঞ্চলের নিম্নভূমি তলিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে যমুনার তীরবর্তী অঞ্চলে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। অপরদিকে, কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানি গত ১২ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২৮ মিটার। গত ১২ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ১২ মিটার। এই পয়েন্টে ১২ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরো পড়ুন : ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি, পানিবন্দি ৪ হাজার পরিবার
তিনি আরো বলেন, পানি বাড়লেও এই মুহূর্তে ভারী বন্যার আশঙ্কা নেই। উজানের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে পানি বাড়ছে। আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত পানি বাড়বে, তারপর কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ভাঙনকবলিত এলাকায় ভাঙন রোধে জিও টিউব ফেলা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, শুক্রবার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য সিরাজগঞ্জের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা ডেকেছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ চলছে।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, দ্রুতগতিতে যমুনায় পানি বাড়ছে। বর্তমানে শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্ট ও কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পানি আরো ৪/৫ দিন বাড়তে পারে। পানি বাড়লেও বড় ধরনের বন্যা না হলেও মাঝারি বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে গত ৩ জুন থেকে অস্বাভাবিকভাবে যমুনায় পানি বাড়ে। এক সপ্তাহ পরই পানি কমতে থাকে। এরপর ১৮ জুন থেকে আবারো দ্রুতগতিতে পানি বাড়তে থাকে। টানা পাঁচদিন বাড়তে থাকার পর ২২ জুন থেকে কমতে শুরু করে। ২৭ জুন স্থিতিশীল থাকার পর ২৮ জুন আবারো পানি বেড়েছে। ২৯ জুন আবার স্থিতিশীল হয়ে ৩০ জুন সামান্য কিছুটা কমে যমুনার পানি। ১ জুলাই থেকে আবারো পানি বাড়তে থাকে।