একাত্তরের আগে স্থাপিত স্কুলে যাওয়ার রাস্তা নেই

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২০, ০৩:২৭ পিএম

চারদিকে কৃষিজমি আর জলাবদ্ধতা

যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থী সংকটে স্কুলটি
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের পুরুরা সাধুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দেশ স্বাধীনের আগে স্থাপিত বিদ্যালয়ের বয়স প্রায় ৫৬ বছর। এতো পুরাতন হওয়া সত্ত্বেও বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা নেই। উঁচু ভিটার উপর অবস্থিত বিদ্যালয়ের চারপাশে ফসলি জমি। বিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সারাবছর। বর্ষায় শিক্ষার্থীদের কষ্ট আরও বেড়ে যায়।
সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে ফসলের ক্ষেত। মাঝখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফসলের ক্ষেতের আইল দিয়ে যাতায়াত করতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। যেখানে সামান্য বৃষ্টি আর বর্ষায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। এই বিদ্যালয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা এতটাই নাজুক যার কারণে বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থী সংকটে রয়েছে। এই ভাবে ছাত্রছাত্রী কমতে থাকায় স্থানীয় শিক্ষিত মহল উদ্বিগ্ন। প্রায় দুই শতাধিক কোমলমতি শিশুর পাঠদানের বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ মোট শিক্ষক চারজন। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় বিদ্যালয়টি দিন দিন শিক্ষার্থী সংকটে পড়ছে। সেইসঙ্গে যেসব শিক্ষার্থী আছে তারাও এখানে পড়তে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে, এতে পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে।
[caption id="attachment_245851" align="alignnone" width="960"]
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক লোক বলেন, সংসদ উপনেতার নির্বাচনী এলাকায় ৫৬ বছররের পুরনো একটি সরকারি বিদ্যালয়ে যাতায়াতের কোন রাস্তা নেই এটি সত্যি আমাদের মর্মাহত করে। এখানকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অনেকবার আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নী। তবে অপর এক সুত্রে জানা গেছে, রাস্তার জায়গা একাধিক ব্যক্তি মালিকানা হওয়ায় সংস্কার উদ্যোগ নিচ্ছেন না কেউই, স্থানীয়রা দ্রুত চলাচলের রাস্তার দাবি জানান।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ইদ্রিস মোল্যা বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা নির্মাণ করা প্রয়োজন। তিনি আরও জানান, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নিকট স্কুলের রাস্তা নির্মাণের জন্য লিখিতভাবে আবেদন করলে সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দিলেও তা আজও আলোর মুখ দেখেনি।
উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নিয়মত হোসেন বলেন, এতদিনের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তা না থাকা দুঃখজনক, রাস্তার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় ও উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে দ্রুত রাস্তার ব্যবস্থা করবো।
রাস্তার বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার বলেন, বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুরবস্থার কথা জানতে পেরেছি। যত দ্রত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করা হবে।