জুড়ীতে ধীরে নামছে বন্যার পানি, দুর্ভোগে বানভাসিরা

জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম

জুড়ীতে বন্যার পানি কিছুটা কমেছে। ছবি : ভোরের কাগজ
উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী ও হাকালুকি হাওর পাড়ের উপজেলা জুড়ীতে বন্যার পানি কিছুটা কমেছে। তবে বৃষ্টি হলে আবার বন্যার পানি বৃদ্ধির সংঙ্কায় রয়েছেন বানভাসি মানুষ।
বন্যার পানি ধীরগতিতে কমলেও বেড়েছে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ। এখনো পানিতে তলিয়ে রয়েছে বাড়ি-ঘর, গ্রামীণ রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে হাকালুকি হাওর পারের গ্রামগুলোতে এখনো পানি রয়েছে। বানভাসিরা নিজের গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অথবা উঁচু স্থানে অবস্থান করছেন।
সোমবার (২৪ জুন) জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ২০৯ সে.মি. থেকে কমে এখন বিপদসীমার ১৮০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরো পড়ুন : পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে দুই ভাইসহ তিনজনের মৃত্যু
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ভোর থেকে টানা বৃষ্টিপাত এবং উজানের পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৬৫ থেকে ৭০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এসব গ্রামের অনেকেই উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্রে বানভাসিরা শুকনো খাবার ছাড়া কিছুই পাননি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সমস্যা রয়েছে।
জুড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, সীমান্তবর্তী ও হাকালুকি হাওর পাড়ের উপজেলা জুড়ীতে বন্যার পানি কমেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জুড়ীতে ১১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৩৭৩টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যার্ত মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ এবং নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ২০৯ সে.মি. থেকে কমে এখন পর্যন্ত বিপদসীমার ১৮০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।