বাংলাবান্ধায় ফের পরিত্যক্ত মর্টারশেল উদ্ধার

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৮:৩২ এএম

ছবি: ভোরের কাগজ
উপজেলার বাংলাবান্ধায় ফের পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেলো বোম্ব সাদৃশ্য মর্টারশেল। এর আগে আরো দু’টি পরিত্যাক্ত মর্টারসেল উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করা হয়। এটি পাথর সাইটে পাওয়া তৃতীয় মর্টারশেল।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার (২৩ জুন) দুপুরের পর এক নারী শ্রমিক ক্র্যাশিং পাথরের সাইটে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা মর্টারশেলটি কুড়িয়ে পায়। পরে সেটি ভারি লোহা মনে করে স্থানীয় বাংলাবান্ধা বাজারের আল আমিন ওয়ার্কশপের দোকানের সামনে নিয়ে আসে। এ সময় আলম নামের এক ভাঙারির দোকানদার তা কেজি দরে কিনে নিলে দোকানদার মর্টারশেল বলে চিনতে পেরে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে ইউপি সদস্য বিজিবি ও থানা পুলিশকে খবর দেন। স্থানীয়দের ধারনা এটি বিশ্বযুদ্ধের সময় ভূটান ও ভারতের কোনো স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো এবং সেই দেশের পাথরের ট্রাকে বাংলাদেশে চলে এসেছে।
ভাঙারির দোকানদার আলম জানান, আমি প্রথমে না বুঝে সেটি লোহা হিসেবে সেটা ১৫০ টাকায় ক্রয় করি। এর আগেও এমন দু’টি লোহার সাদৃশ্য বস্তু সেনাবাহিনীর বোম্প ডিসপোজার ইউনিট ধ্বংস করেছিলো। তা থেকে মনে হয় সেটি মর্টারশেল। পরে ইউপি সদস্য বুলবুলের মাধ্যমে বিজিবিকে জানাই।
আরো পড়ুন: অবশেষে কেটে ফেলা হলো ‘কথা বলা’ সেই গাছ
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরে আগেও বাংলাবান্ধায় পাথর ক্র্যাশিং সাইট থেকে দুটি পরিত্যক্ত মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়েছিলো। সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে একই ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে ভাঙারির দোকান থেকে একটি মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল টিম এসে মর্টারসেল দুটিকে নিষ্ক্রিয় করে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আরমান আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানের সামনে থেকে মর্টার সেলটি উদ্ধার করে বালির বস্তা দিয়ে সংরক্ষিত স্থানে রাখা হয়েছে। পরে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহায়তায় সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল টিমকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বি বলেন, এর আগে আরো দু’টি পরিত্যাক্ত মর্টারসেল উদ্ধার হয়েছিলো। যা প্রশাসনের সহযোগিতায় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট নিষ্ক্রিয় করেছিলো। এটিও তাই করা হবে।