ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে তীব্র যানজট

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ১০:২৪ এএম

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট। ছবি : সংগৃহীত
রাতভর ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে উত্তরের মানুষকে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও বঙ্গবন্ধু সেতুতে একাধিকবার টোল আদায় কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার (১৬ জুন) ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে কালিহাতীর পৌলি পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার অংশে উত্তরবঙ্গগামী লেনে যানজট ছিল। তবে সেটি এখন কমে ১০ কিলোমিটারে গিয়ে ঠেকেছে।
এছাড়া ঢাকাগামী পরিবহনগুলো আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে চলাচল করায় ভুঞাপুর-টাঙ্গাইল সড়কে কোথাও কোথাও পরিবহনের ধীরগতি রয়েছে। যানজটের কারণে ঈদে ঘরেফেরা মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে গণপরিবহন না পেয়ে যারা ট্রাক ও পিকআপে রওনা হয়েছেন তারা বেশি বিপাকে পড়েছেন। রাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশু-নারীরাও এসব ট্রাক ও পিকআপে চড়ে নাড়ির টানে ঈদ উদযাপন করতে গেছেন।
আরো পড়ুন : ঈদযাত্রায় এক দিন একটু সমস্যা হলে কী আসে-যায়
জানা গেছে, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে অতিরিক্ত পরিবহনের চাপ, রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর ফিটনেসবিহীন একাধিক পরিবহন বিকল হওয়া, সেতুতে টোল আদায় বন্ধ ও চালকদের বেপরোয়াভাবে আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।
টাঙ্গাইল অংশে পরিবহনের চাপ বেড়ে গেলে জেলা প্রশাসন ও সেতু কর্তৃপক্ষ উত্তরবঙ্গমুখী সেতু চার লেন করে দেয়। ঢাকামুখী লেন কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়। তবুও যানজট ঠেকানো যায়নি সেতুর ওপর পরিবহন বিকল হওয়ার কারণে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, সেতুর ওপর পরিবহন বিকল হওয়ায় টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। এতে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেড়ে যায়। বর্তমানে মহাসড়কে গাড়ির টান শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
বঙ্গবন্ধু সেতু সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হলেও ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে তা বাড়তে থাকে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার ৯৫১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৫০ টাকা।