মধ্যনগরে ডিআইজির ভাইয়ের পক্ষে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, সুনামগঞ্জ থেকে
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ১১:৫২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার মধ্যনগর উপজেলায় ভোটগ্রহণ বুধবার (৫ জুন)। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মধ্যনগর উপজেলার দাতিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল বাতেনের বড়ভাই আব্দুর রাজ্জাক।
তার পক্ষে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রভাব বিস্তার করছেন বলে রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমানের নির্বাচনী এজেন্ট জেলা আইনজীবী সমিতি ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান ঝিনুক।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিচয় দিয়ে কিছু লোক বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন ও আমার নির্বাচনী এজেন্টদের বিরুদ্ধে খোঁজ খবর নিতে থাকেন, যা আমার কাছে এজেন্টদের ভয়ভীতি ও সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা মনে হচ্ছে।
শুধু তাই নয় এ উপজেলার বাসিন্দা একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদ্যরা ছুটিতে এসে প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষে নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা ও সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। এরমধ্যে উপজেলার বলরামপুরের বাসিন্দা এএসআই বিল্লাহ অন্যতম।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনকে একটি প্রভাবমুক্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলে সোমবার রাতে একটি ক্ষুদে বার্তায় লিখেছেন, 'মধ্যনগরে ডিআইজির ভাই প্রার্থী হয়েছেন ভালো কথা, তাই বলে পুলিশ প্রার্থীর জন্য কাজ করবে সেটা কেমন কথা? সুনামগঞ্জের মধ্যনগর প্রত্যন্ত উপজেলা হওয়ায় সেখানে পুলিশ সদস্যরা ডিআইজি বাতেন সাহেবের ভাইয়ের পক্ষে ভোট চাইতেছেন, অন্যান্য প্রার্থীকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
প্রার্থীকে জিতাতে পুলিশে চাকরিরত অবস্থায় ছুটি নিয়ে এসে ভোট চাচ্ছেন এবং অন্যান্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারের প্রতি অনুরোধ ডিআইজি সাহেবের ভাইকে জয়ী করতে চাইলে আপনি তাদেরকে সরাসরি বলে দেন, আর আমার অন্যান্য প্রার্থীদের বলি আপনারা সংবাদ সম্মেলন করে তারা যেন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।
তিনি আরো লিখেন, জাতীয় নির্বাচনে আইজিপির ভাই পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করতে পারে নাই, তাই হ্যা বলে আপনাদের সদস্য ডিআইজির ভাইকে জয়ী করতে উঠে পড়ে লেগেছেন, তিনি মূল নায়ক বাতেন সাহেবের ভাইয়ের পক্ষে ভোট চাইতে এসেছেন। ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
জানতে চেয়ে এএসআই বিল্লাহর ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা করা হলে তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, নির্বাচনে কোনো প্রকার স্বজনপ্রীতি সহ্য করা হবে না, সে যেই হোক। একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জেলা প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ প্রশাসন জিরো টলারেন্সে রয়েছে।
আরো পড়ুন: