পাইকগাছায় ৩শ পরিবার পানিবন্দি, ঝুঁকিতে বেড়িবাঁধ

তৃপ্তি রঞ্জন সেন, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
খুলনার পাইকগাছায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে লন্ডভন্ড হওয়া গড়ইখালীর খুদখালী বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে আটকালেও চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। অপরদিকে গড়ইখালী ইউনিয়নের প্রায় ৩'শ পরিবার এখনো পানিবন্দি।
ইউপি চেয়ারম্যান পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলে ঘরের ভিতরের পানি নামলেও এখনো উঠানে রয়ে গেছে পানি। বর্তমানে ওই এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি এলাকায় খুলনা জেলা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর জেরিকন, বালতি, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, হাইজিন কিট, ব্লিচিং পাউডার ও প্লাষ্টিকের সেমি টুল বিতরণ করেছে। গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জি. এম আব্দুস ছালাম কেরু বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকা খুদখালী ওয়াপদার বাঁধ ভেঙ্গে বিভিন্ন স্হান প্লাবিত হয় এবং ৫০/৬০টি ঘরবাড়ী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়।
আরো পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে একটি মৃত চিত্রা হরিণ
গত দুই দিন ধরে এলাকাবাসিদের সঙ্গে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ভাঙ্গন স্থানে কাজ করে কোনরকমে পানি আটকানো হয়েছে। কিন্তু জোয়ারের পানিতে যেকোনো সময় আবারো ওই স্হান ভেঙ্গে যেতে পারে। ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
এদিকে বুধবার (২৯ মে) দুপুরে খুলনা জেলা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জামালুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আকমল হোসেন ও ইউপি চেয়ারম্যান জি. এম আব্দুস ছালাম কেরু পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করে তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা শোনেন। উপজেলার লস্কর, সোলাদানা, দেলুটি, লতা, রাড়ুলি, গদাইপুর, কপিলমুনি,হরিঢালী ও চাঁদখালী ইউনিয়নে ভেঙ্গে যাওয়া কিছু কিছু বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মেরামত করা হলেও বাকী স্হানে বাঁধ মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।