হবিগঞ্জ জেলায় প্রথম সাংবাদিক হিসেবে প্রায় ৪০ হাজার ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক ইত্তেফাকের নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. সাইফুল জাহান চৌধুরী। এর আগে তিনি বিপুল ভোটে নবীগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে অনুষ্টিত নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে একমাত্র সংবাদ কর্মী হিসেবে প্রার্থী ছিলেন মো. সাইফুল জাহান চৌধুরী। নির্বাচনে তিনি তালা প্রতীক নিয়ে ৩৯ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী বই প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৪১ ভোট। এ ছাড়া অন্য ছয় প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এড. গতি গোবিন্দ দাশ মাইক প্রতীক নিয়ে মাত্র ১৮ হাজার ৩৮ ভোট পান। মো. সাইফুল জাহান চৌধুরী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে ২১ হাজার ৩১৯ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

আরো পড়ুন: যে কারণে ফ্রিজিয়ান গরুর নাম জায়েদ খান!

নবীগঞ্জ উপজেলার জে.কে. উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নবীগঞ্জ শহরের চরগাঁও পৌর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মতিন চৌধুরীর ২য় সন্তান মো. সাইফুল জাহান চৌধুরী। তিনি দীর্ঘ দুই যুগ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও তিনি নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ভোটে জয় লাভের পর মো. সাইফুল জাহান চৌধুরী জানান, গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। সমাজ থেকে সবধরনের বৈষম্য দূর করে গরিব-মেহনতি মানুষের পাশে থেকে আগে যেমন কলম সৈনিক হিসেবে কাজ করেছি তেমনি জনসাধারণের পাশে থেকে এলাকার উন্নয়নে কাজ করাই আমার লক্ষ্য। তিনি বলেন, মানুষের সেবা করার যে মনোভাব নিয়ে আমি এগিয়ে চলেছি এই বিজয় তারই ফল।

গণমাধ্যম কর্মী মো. সাইফুল জাহান চৌধুরীর এই বিজয়ে নবীগঞ্জের গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও অনেক খুশি। অনেকে তার বাড়িতে ছুটে এসেছেন, মিষ্টিমুখ করিয়ে গেছেন। মোবাইল ফোনে অভিনন্দন জানাচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে।