ডুমুরিয়ায় কীটনাশকমুক্ত পেঁপে চাষে স্বাবলম্বী অনেকেই

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৩:৩৬ পিএম

পতিত জমিতে পেঁপে চাষে উৎসাহ বাড়ছে
ডুমুরিয়া( খুলনা)উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে পতিত জমিতে ও ঘেরের পাড়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষিদের পেঁপে চাষে উৎসাহ বাড়ছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকমুক্ত পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকেই। এদের মধ্যে আটলিয়া ইউনিয়নের বরাতিয়া গ্রামের নবদ্বীপ মল্লিক ও দীপালী রাণী দে অন্যতম।
উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে দীপালী রাণী দে জানতে পারেন বেলে-দোআঁশ মাটিতে ও উঁচু জমিতে পেঁপে চাষ করা সম্ভব এবং এতে রোগবালাইও তুলনামূলক কম হয়। তিনি কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক ঘেরের পাড়ে অনাবাদি অবস্থায় পড়ে থাকা প্রায় দুই একর জমি বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষে উৎসাহিত হন। এরপর তিনি দেড় একর জমিতে ১৫শ পেঁপে গাছ রোপণ করেন। তিনি মাদা পদ্ধতিতে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে স্থানীয় উন্নত জাতের পেঁপের চারা রোপণ করেন।
তিনি জানান, মাত্র ৮০ হাজার টাকা পেঁপে চাষে ব্যয় করে ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে প্রায় ৪ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেন। একটি গাছ ৩ থেকে ৪ বছর ফল দেয়, তাই তিনি আশাবাদী কোনোরূপ বৈরী পরিস্থিতি তৈরি না হলে আরো ১৫ লাখের অধিক টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ডি. কৃষিবিদ ইকতিয়ার হোসেন বলেন, তিনি পেঁপে চাষিদেরকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করেন। বর্তমানে বাড়ির আঙিনায় পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষের পাশাপাশি কৃষকরা স্বল্প পুঁজি খাটিয়ে বাণিজ্যিকভিত্তিতে স্থানীয় জাতের পেঁপে চাষে উৎসাহিত হয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: মোছাদ্দেক হোসেন জানান, ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা এখন পেঁপে চাষে আগ্রহ বেড়েছে। তিনি সহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে থাকেন বলে জানান।
উল্লেখ্য ডুমুরিয়ার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ভালো পরামর্শ প্রদান করার কারণেই পেঁপে চাষ ভালো হচ্ছে বলে চাষীরা জানিয়েছেন।