মধ্যনগরের টাঙ্গুয়ার হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু

রাসেল আহমদ, মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ)
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩১ এএম

ছবি: ভোরের কাগজ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে টাঙ্গুয়ার হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু করেছে কৃষক। টাঙ্গুয়ার হাওর বরাবরই আগাম বন্যায় ফসলহানির ঝুঁকিতে থাকে। তাই এই হাওরের কৃষকরা আগাম জাতের ধান চাষ করে থাকেন। রবিবার টাঙ্গুয়ার হাওরের রংচী গ্রামের কৃষক মজিবুর রহমান ও শহীদ মিয়া তাদের জমির ধান কাটা শুরু করেন।
কৃষক মজিবুর রহমান জানান, তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের ব্রি ধান-৮৮ রোপণ করেছিলেন তিনি। কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগ-বালাই ছাড়াই পাকাধান কাটতে পেরে তিনি খুশি। ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। তিন বিঘা জমিতে প্রায় ৭০-৭৫ মণ ধানের ফলন হয়েছে। একই গ্রামের আরেক কৃষক শহীদ মিয়া দুই বিঘা জমির পাকাধান কাটা শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, মৌসুমের প্রথম ধান কাটছি। ধান ভালোভাবে পেকেছে, ফলনও হয়েছে ভালো। বিঘাপ্রতি ২২-২৫ মণ ধানের ফলন হয়েছে। মধ্যনগর উপজেলা কৃষি বিভাগের কার্যক্রম পাশের ধর্মপাশা উপজেলা থেকে পরিচালিত হয়।
ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্রে জানা যায়, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় এবার ৩১ হাজার ৯০২ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন ধান- যার সম্ভাব্য মূল্য ৫০৫ কোটি টাকা।
বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকমল হোসেন বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরটি আগাম বন্যার ঝুঁকিতে থাকে। তাই কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ওই হাওরের কৃষকদের আগাম জাতের ব্রি-৮৮ ধান চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। রবিবার থেকে এ হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না ভোরের কাগজকে বলেন, মধ্যনগরের টাঙ্গুয়ার হাওরে পাকাধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে অন্যান্য হাওরে এখনো ধানকাটা শুরু হয়নি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। এখন শুধু শিলাবৃষ্টি ও অকাল বন্যার কবল থেকে রক্ষা হলে বাম্পার ফসল কৃষকদের গোলায় উঠবে।