জীবিকার তাগিদে ঘর ফেলে ৬০ পরিবার ঢাকায়

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:০৮ পিএম

ছবি: প্রতিনিধি
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আবাসনের ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ আবাসনের অর্ধশত পরিবারের মানবেতর জীবনযাপনের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আবাসনের বাসিন্দা আশরাফ আলী ও বুদু মিয়া জানান, আবাসনে ১ শত পরিবারকে মাথা গুজার ঠাঁই করে দেয়া হলেও তাদের জন্য করা হয়নি কর্মসংস্হানের ব্যবস্থা। ফলে জীবিকার তাগিদে ঘর ফেলে রেখে ৬০টি পরিবার পাড়ি জমিয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এতে ফাঁকা পড়ে আছে ওই ৬০টি কক্ষ।
জানা গেছে, ২০০৪ সালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ভারুয়া গ্রামে সাড়ে ৫ একর সরকারি খাস জমির উপর আবাসন প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নির্মিত ১০ সেট ঘরের প্রতিটি ঘরে নির্মাণ করা হয় ১০টি করে কক্ষ। ১০ সেট ঘরের ১ শতটি কক্ষে ১ শতজন ছিন্নমূল পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।
অপরদিকে ৪০ পরিবারের নানী-পুরুষ ও শিশুসহ প্রায় ২ শত লোক আবাসনে বসবাস করে আসলেও তাদের দুঃখ্ কষ্টের শেষ নেই। বাসিন্দাদের সবাই শ্রমজীবী। একদিন কাজে না গেলে ঘরে চুলা জ্বলে না। থাকতে হয় অনাহারে অর্ধাহারে। ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি এলে সেদিন সবার রাতের ঘুম হারাম। বসে থেকে কাটাতে হয় তাদের রাত।
আবাসনের বাসিন্দা অজুফা বেওয়া জানান, আবাসনের নলকূপগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
আবাসনের সভাপতি মো. গুডু মিয়া বলেন, সংস্কারের অভাবে ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী। ৬ ফুট উচু করে সেড নির্মাণ করায় রৌদ্রের মধ্যে ঘরে টিকে থাকা যায় না। ঘরগুলো সংস্কারের জন্য প্রশাসনের কাছে বহুবার আবেদন করা হলেও কোনো কাজে আসেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।